জোটে থাকা নিয়ে বিড়ম্বনা বাড়ছেই
জামায়াত-গুরু গোলাম আযমের মৃত্যুর পর তার বাসায় একটি শোকবই খোলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তার নামে একটি ওয়েবসাইটেও শোকবইয়ের পাতা খোলা হয়েছে। কিন্তু এ শোকবইয়ে হাজার হাজার স্বাক্ষর জমা পড়লেও দলের বাইরে কেউ স্বাক্ষর করতে আসেনি।
জামায়াতের পক্ষ থেকে মনে করা হয়েছিল, বিএনপি শোকবাণী না দিলেও অন্তত শোকবইয়ে স্বাক্ষর করতে আসবে। কিন্তু বিএনপির কেউ আসেননি। আর এ কারণেই জামায়াতের জোটে থাকা-না-থাকা নিয়ে বিড়ম্বনা বাড়ছেই।
সোমবার দুপুরে প্রয়াত গোলাম আযমের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, বাড়িটির সপ্তম তলায় একটি লাইব্রেরিতে রেখে যাওয়া বইটিতে সারিবদ্ধভাবে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা স্বাক্ষর করছেন। গোলাম আযমের ছেলে আবদুল্লাহীল আমান আযমী পাশেই বসে আছেন। সামনে বসা স্থানীয় ও শীর্ষ পর্যায়ের অনেকেই বিএনপির ব্যাপারে আসা-না-আসা ইত্যাদি নিয়ে কথা বলছেন। এ সময় আমান আযমী চুপ ছিলেন।
শোকবইয়ের ব্যাপারে আমান আযমীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে সোমবার দুপুর ২টা পর্যন্ত সাড়ে ১২০০-র মতো স্বাক্ষর জমা পড়েছে। আপাতত আগামী শুক্রবার পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্বাক্ষর দেওয়ার সময় রাখা হয়েছে। তবে সময় আরো বাড়তে পারে। কারণ প্রতিদিন ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ফোন আসছে সময় বাড়ানো জন্য।’
বিএনপির পক্ষ থেকে কেউ শোকবইয়ে স্বাক্ষর করতে এসেছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি আসবে কি না সেটা তাদের একান্ত ব্যাপার। তবে না আসাতে জামায়াতের মধ্যে এক ধরনের ক্ষোভ বিরাজ করছে। জানাজার সময়ও তারা আসেনি। এজন্য নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ আরো বেশি ছিল। অনেক নেতা-কর্মী বিএনপির জোট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সিনিয়র নেতাদের প্রকাশ্যে বলেছেন। ভবিষ্যতে যত দলীয় সভা হবে, বিষয়টা সেখানেও প্রাধান্য পাবে। আর জোট থেকে বের হয়ে এলে বিএনপিকেই বেকায়দায় পড়তে হবে।’
আপনি জামায়াতের সঙ্গে কবে থেকে সরাসরি কাজ করবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি জামায়াতের কেউ না। আমি সেনাবাহিনীর লোক। আমার বাবা জামায়াত করত বলে এই সরকার বেআইনিভাবে আমার চাকরি খেয়েছে। সে ব্যাপারে মামলা চলছে। রায় কী হবে সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি। আর ভবিষ্যতে জামায়াতের রাজনীতি করব কি না, সেটাও এখনো ভাবিনি।’
মন্তব্য চালু নেই