জেনে নিন হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে ওজন কমানোর ৪ উপায়
অনেকেই হরমোনজনিত কারণে দেহের বাড়তি ওজন নিয়ে সমস্যায় থাকলেও এ সমস্যার কার্যকর কোনো সমাধান পান না। এ লেখায় দেওয়া হলো ওজন হ্রাসের জন্য চারটি উপায়, যা হরমোনজনিত পরিবর্তন ঘটিয়ে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফক্স নিউজ।
১. সারাদিন ক্ষুধার্ত থাকা বন্ধ করুন
সারাদিন ক্ষুধার্ত থাকার পেছনে এক ধরনের হরমোন ভূমিকা রাখে। এ হরমোনগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে তা দেহের ওজন বাড়িয়ে দেয়। দেহের ওজন যাদের বেশি তাদের মাঝে এ ধরনের হরমোনের প্রভাব বেশি দেখা যায়।
সমাধান : ঘুম
হরমোনজনিত এ সমস্যা মোকাবেলায় ভূমিকা রাখে পর্যাপ্ত ঘুম। অন্যদিকে ঘুমের সমস্যার কারণে হরমোনজনিত ক্ষুধা বেড়ে যায়। যাদের এ ধরনের সমস্যা রয়েছে তাদের প্রতিদিন সাড়ে ছয় থেকে সাড়ে আট ঘণ্টা পর্যন্ত ঘুমানোর পরামর্শ দেন গবেষকরা। এতে এ ধরনের হরমোনকে যথেষ্ট কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।
২. ফ্যাট দূর করা মাংসপেশি তৈরি করুন
দেহে যদি মাংসপেশির তুলনায় চর্বি বেড়ে যায় তাহলে হরমোনজনিত পরিবর্তন ঘটতে পারে। আর এতে দেহের ওজন ক্রমে বাড়তে থাকে। এক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরন হরমোন হতে পারে দেহের মাংসপেশি তৈরির প্রাথমিক হরমোন। এ হরমোনটি যত বেশি পরিমাণে হবে ততই মাংসপেশি বাড়বে। আর এর সঙ্গে সঙ্গে দেহের ক্যালরি পোড়ানোর হারও বেড়ে যাবে। এ হরমোনটি কমে গেলে ইনসুলিনের প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বেড়ে যাবে এবং ক্যালরি সংরক্ষণ করার প্রবণতা বেড়ে যাবে।
সমাধান : ভারী জিনিস ওঠানো
ভারী জিনিস ওঠানা বা এ ধরনের ভারী শারীরিক পরিশ্রম করলে তা আপনার দেহের মাংসপেশি গঠন ও চর্বি কমানোর জন্য সহায়ক হবে।
৩. খাবারে পরিবর্তন আনুন প্রতিবার
খাবার খাওয়ার সময় আপনার দেহে নানা হরমোন নিঃসৃত হয়। এসব হরমোন খাবার খাওয়ার পরিমাণ নির্ধারিত করে। পরবর্তীতে আরও খেতে হবে কি না, তা জানিয়ে দেয়। এ হরমোনগুলো যদি পর্যাপ্ত না হয় তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন না কতখানি খাওয়া উচিত। তাই এ হরমোনগুলো সঠিকভাবে নিঃসরণ করা প্রয়োজন। অন্যথায় আপনার বেশি খাবার খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হতে পারে।
সমাধান : বেশি প্রোটিন, ফ্যাট ও আঁশজাতীয় খাবার খান
আপনার খাবারকে এমনভাবে নির্বাচন করা উচিত যা পেটে পূর্ণতার অনুভূতি দেবে। এ কারণে আপনার বেশিকরে প্রোটিন, ফ্যাট ও আঁশজাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। এ খাবারগুলো আপনার হরমোনের মাত্রায় পরিবর্তন করবে এবং খাওয়ার কোন পর্যায়ে পেট ভরে গেছে তা জানিয়ে দেবে। এতে আপনার ক্ষুধা দূর হবে এবং বাড়তি খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমবে।
৪. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সরল করুন
থাইরয়েড গ্রন্থি আপনার ঘাড়ের কাছাকাছি স্থানে অবস্থিত। এটি টি৩ এবং টি৪ সহ বেশ কয়েক ধরনের হরমোন নিঃসরণ করে। এগুলো আপনার দেহের ক্যালরি পোড়ানোর হিসাব করে। স্বাভাবিকভাবে অটোইমিউন রোগ থাইরয়েড হরমোনের মাত্রায় বড় সমস্যা সৃষ্টি করে। আপনার যদি হঠাৎ করে ওজন বৃদ্ধি পায়, হঠাৎ চুল পড়ে যায় কিংবা মারাত্মক অবসাদ দেখা যায় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করুন। তবে সুস্থ মানুষেরও এমনটা হতে পারে। আর এ ধরনের সমস্যায় দেহের ওজনও বেড়ে যায়।
সমাধান : সামুদ্রিক খাবার খান
আয়োডিনের অভাবজনিত কারণে থাইরয়েডের গণ্ডগোল হয়ে থাকে। এ কারণে আয়োডিনযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত, যার অন্যতম উৎস হতে পারে সামুদ্রিক খাবার। এক্ষেত্রে সামুদ্রিক মাছ, শৈবাল ও অন্যান্য প্রাণীর খাবার খাওয়া যেতে পারে।
মন্তব্য চালু নেই