জেনে নিন লোভী মেয়ে চেনার সহজ উপায়
পৃথিবীতে অনেক ধরণেরই নারী আছে। তবে একেকজন একেক রকম হয়ে থাকে। কারো সাথেই কারো মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। আর এদের মাঝেই আছে ভীষণ রকম লোভী মানুষ। লোভের জন্য তারা যে কোন কিছু করতেও দ্বিধা করেন না।
ধরুণ, এই লোভী মেয়েদের কেউ যদি আপনার ভালোবাসার মানুষ হয়ে থাকেন! তাহলে নিশ্চয় বিপদে পড়বেন আপনি। এ ক্ষেত্রে সে কিন্তু সর্বদা নিজের স্বার্থে আপনাকে ব্যবহার করবে, দিন শেষে আপনার মনে হবে আপনি একটি পাপোশের মতন। আর তাই এই লোভী মানুষগুলোকে চিনে রাখাটা ভীষণ জরুরী নয় কি? তাহলে কীভাবে চিনবেন?
১। লোভী প্রকৃত মেয়েগুলো সাধারণত মিষ্টিভাষী হয়ে থাকেন। এদের কথায় মিষ্টতা থাকে। মিষ্টি কথা বলে এরা মানুষকে ভুলিয়ে রাখতে পারেন। এদের কথা শোনে আপনার হবে সে প্রচণ্ড রকম ভালো একজন মেয়ে। সে কোন অন্যায় করতেই পারে না। এমনকি সে সবসময় আপনার মন যোগানোর চেষ্টা করে থাকবে। এরা আপনার সাথে ভালো ব্যবহার করে আপনাকে বিপদে ফেলে দিতে পারে যেকোনো মুহূর্তে।
২। লোভী প্রকৃতির মেয়েদের অনেক বন্ধু থাকে। তবে এদের প্রকৃত বন্ধু থাকে না। প্রতি মুহুর্তেই এদের বন্ধুত্বের বদল হয়। আজ একজন তো কাল আরেকজন। এরা শুধু প্রয়োজনেই মানুষের সাথে মিশে থাকেন। প্রয়োজন শেষ হলে যতদ্রুত সম্ভব এরা কেটে পরে। এক বন্ধুর থেকে আরেক বন্ধুর কাছে সুযোগ বেশি পেলে তারা বন্ধুত্ব নষ্ট করতেও দ্বিধাবোধ করেন না।
৩। লোভী মেয়েরা সবসময় যা করবে হিসেব কষে করে। এরা হুটহাট করে কিছু করে না। এদের মধ্যে সবসময় এটা না, ওটা, এমন একটা ভাব লক্ষণীয়। যেখানে এদের লাভ থাকে বেশি সেদিকেই এরা যায়। ওটার চেয়ে এটাতে যদি এদের লাভ বেশি হয়, তাহলে তারা এটা করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
৪। লোভী মেয়েরা একার যদি কোন জিনিসের প্রতি আকর্ষিত হয় তাহলে এরা কখনই অল্পতে সন্তুষ্ট থাকে না। তাই নিজের চাহিদা মেটানোর জন্য এরা যত সম্ভব মানুষের কাছে যায়। উদ্দেশ্য একটাই ওটা আমার চাই-ই চাই।
৫। এদের সব কিছুতেই একটা তাড়াহুড়োভাব থেকে যায়। এরা কোন কিছুই স্থীরভাবে করে না। তবে এরা কখনই একটা কাজ করে থেমে থাকে না। এরা কখনোই কোনো কিছুর লোভ সামলাতে পারে না।
৬। লোভী প্রকৃত মেয়েগুলো সবসময় অনেক বেশি কথা বলে। বলতে গেলে এরা বাচাল প্রকৃতির হয়ে থাকে। একবার কথা শুরু করলে এরা থামতে চায় না। তবে এমন কোন কথা এরা বলে না যা অন্যের রাগের কারণ হতে পারে। ভালো কথাই মিষ্টি স্বরে বলে।
৭। এরা মানুষকে উত্যক্ত করতে বেশি পছন্দ করে। বিভিন্নভাবে তারা সবাইকে উত্ত্যক্ত করে থাকে। অতিরিক্ত কথা বলে, বারাবার এক কথা বলে, যেকোনো জিনিসের জন্য ধরনা ধরে তারা সবাইকে উত্ত্যক্ত করে বসে।
মন্তব্য চালু নেই