জেনে নিন, লিভ টুগেদারের চমকপ্রদ উপকারিতা?

লিভ টুগেদার বলতে সাধারণত বোঝায় একসাথে থাকা অর্থাৎ বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড বিয়ের আগে একই ফ্ল্যাটে স্বামী-স্ত্রীর মত করে বসবাস করা। বাংলাদেশে লিভ টুগেদার নিষিদ্ধ যেখানে পশ্চিমা দেশগুলোতে এটি বৈধ। বাংলাদেশের সামাজের জন্য অবৈধ এই লিভ টুগেদারের কিছু উপকারিতা আছে। আসুন সংক্ষেপে জেনে নিই এসব উপকারিতা সম্পর্কে।

দুজন দুজনার সম্পর্কে জানা :

বিয়ের আগে বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড একসাথে থাকলে তারা দুজন দুজনার সম্পর্কে ভালোভাবে জানার সুযোগ পেয়ে থাকে। ছোট্ট ছোট্ট খারাপ অভ্যাসগুলো থেকে শুরু করে প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে জানতে পারে। ফলে দুজনার মাঝের সম্পর্কের ভারসাম্য ঠিক থাকে।

যৌন জীবন সম্পর্কে জানা :

আমাদের সমাজে সাধারণত ছেলে মেয়ের সাথে একবার দেখা করানোর পরেই বিয়ে দিয়ে দেয়। কিন্তু তারা ঠিক জেনে উঠতে পারে না যে যৌন জীবনে তারা একে অপরের সাথে কতটা সুখী হতে পারবে। লিভ টুগেদারে যৌন জীবনের একটা প্র্যাকটিস হয়ে যায়। যার ফলে যৌন জীবনের চাওয়া পাওয়াগুলো চাইলে তারা বিয়ের আগেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এতে করে সাংসারিক গোলযোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

মানসিক বিষয়গুলো জানা :

বিয়ের পরে দুটি অজানা সত্ত্বার মানসিক মিলন নাও ঘটতে পারে। এসময়ে নানা ধরনের ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হতে পারে। এমতাবস্থায় বিবাহ বিচ্ছেদের মত ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। কিন্তু লিভ টুগেদারে একজন আরেকজনের মানসিক অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে তাই তারা বিয়ের অঅগেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে একে অপরের সাথে সংসার করা সম্ভব হবে কি না।

বিবাহ বিচ্ছেদের পরিমাণ হ্রাস :

বিবাহ বিচ্ছেদ দুটি জীবনকে নষ্ট করে দেয়। সব ধরনের স্বপ্নকে ধূলিস্যাৎ করে দেয়। আর তাদের যদি কোনো সন্তান থেকে থাকে তাহলে সেই সন্তানেরও জীবন আশঙ্কাপূর্ণ হয়ে ওঠে। লিভ টুগেদারের ফলে প্রিয় মানুষটি সম্পর্কে এ টু জেড জানা হয় বলে বিবাহ বিচ্ছেদের সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।

পরকিয়ার প্রবণতা কমে :

স্বামী বা স্ত্রীতে তুষ্ট না হলে এমন অনেকেই আছেন যারা পরকিয়ায় লিপ্ত হয়ে পড়েন। অবশ্য এমন অনেক পাবলিকও আছেন যারা চারিত্রিক সমস্যার কারণেই পরকিয়া করেন। সাধারণত লিভ টুগেদারের ফলে দুটি সত্ত্বা তাদের নিজেদের যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে জানেন ফলে তাদের চাওয়া পাওয়ার মাঝে কোনো ধরনের অভাব থাকে না। এজন্য তারা সাংসারিকভাবেও সুখী থাকেন যার দরুণ পরকিয়ায় লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত থাকেন।

এসব আলোচনা প্রযোজ্য একমাত্র পশ্চিমা দেশগুলোর ক্ষেত্রে। তার লিভ টুগেদার করে এই ধরনের উপকারিতা পেয়ে থাকেন। বাংলাদেশ বা এশিয়ান যেকোনো দেশগুলোতে লিভ টুগেদা্র স্বীকৃত নয়। তাছাড়া আমাদের ইসলাম ধর্মে বিষয়টিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে এ দেশবাসীর বিষয়টি থেকে বিরত থাকাই ভালো।

তথ্যসূত্র : আস্কমেন



মন্তব্য চালু নেই