জেনে নিন, লিফট ব্যবহারে প্রয়োজনীয় নিয়ম-কানুন

বহুতল অফিস, বাসা বা শপিংমলে চলাফেরার সহজ সমাধান লিফট। অল্প জায়গার ভেতর অনেকে একসঙ্গে উঠানামা করতে হয়। সবাই সবার ব্যস্ততা নিয়ে চলাফেরার মাঝে কেউ কেউ এমন কিছু আচরণ করে বসে যা অন্যের কাছে চরম বিরক্তের কারণ। অনেক সময় ভুল আচরণের কারণে দুর্ঘটনাও ঘটে থাকে। তাই লিফটে ওঠা-নামার সময় কিছু প্রয়োজনীয় আদবকেতা সবারই মেনে চলা উচিৎ। যেমন-

– লিফটে ওঠার পর দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় কাউকে আসতে দেখেন তাহলে দরজা খোলার বাটন চেপে ধরে রাখুন। কারণ, দরজা বন্ধ হওয়ার সময় সে ঢুকতে গেলে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকবে। তাই এটাও একটা ভদ্রতা।

– লিফটের ভেতর কথা কম বলা উচিৎ। উচ্চস্বরে কথা তো একদমই বলা ঠিক নয়।

– লিফটে ফোনের নেটওয়ার্ক থাকে না। তাই কথা না শোনা গেলে অযথা চিৎকার করে কথা বলতে যাবেন না।

– পরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে লিফটে দেখা হয়ে গেলে তার সঙ্গে সৌজন্যমূলক কথা বলতে পারেন। তবে, অতিরিক্ত কথা বলে অন্যদেরকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলবেন না।

– লিফটে ওঠার জন্য তাড়াহুড়া করা মোটেও ঠিক না। লাইনে দাঁড়িয়ে ধীরেসুস্থে লিফটে উঠুন এবং নামুন।

– এক বা দোতলায় যাওয়ার সময় লিফট এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

– দৌঁড়ে এসে প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়া লিফটে উঠতে যাবেন না- এতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

– লিফটে ওঠার আগে অন্যদের নামতে দিন, পরে উঠুন। এতে ধাক্কা লাগার সম্ভাবনা কম থাকবে।

– লিফটে যখন মানুষ কম থাকবে তখন মালপত্র ওঠানামার কাজ সেরে ফেলুন।

– ভদ্রভাবে সংকুচিত হয়ে লিফটের কোনায় দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন। যাতে অন্য কারোর অস্বস্তির কারণ না হন।

– লিফটের ভেতর খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

– লিফটে কাউকে ধাক্কা দিয়ে, কারো মাথা ডিঙিয়ে বাটন প্রেস করতে যাবেন না। ভদ্রভাবে নিজের ফ্লোর-বাটনে প্রেস করুন অথবা অন্যকে অনুরোধ করুন।

– লিফটের মধ্যে জোরে হাঁচি কিংবা কাশি এলে মুখে রুমাল চাপা দিন।

– কোনো কারণে লিফট মাঝপথে আটকে গেলে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন। অযথা চেচামেচি করবেন না।



মন্তব্য চালু নেই