জেনে নিন, বিএনপির নতুন কমিটিতে কে কোন পদ পেল
ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের চার মাস ১৬ দিন পর বিএনপির ৫০২ সদস্যের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। পুরনোদের পাশপাশি কমিটিতে নতুন মুখের সংখ্যা ১১৩ জন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার অনুমোদিত কমিটির নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এর আগে তিনদফায় মহাসচিব, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিব, কোষাধ্যক্ষ, সাংগঠনিক সম্পাদক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোট ৪২ জনের নাম ঘোষণা হল।
গত ১৯ মার্চ দলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের ১০ দিনপর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে মহাসচিব, রুহুল কবির রিজভীকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব ও মিজানুর রহমান সিনহাকে কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ দেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
৫০২ সদস্যের জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যানের সংখ্যা ৩৭ জন।
এরা হলেন, বিচারপতি টিএইচ খান, এম মোরশেদ খান, হারুন আল রশীদ, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, আবদুল্লাহ আল নোমান, সাদেক হোসেন খোকা, রাবেয়া চৌধুরী, অধ্যাপক আবদুল মান্নান, আবদুল মান্নান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, হাফিজউদ্দিন আহমেদ, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সেলিমা রহমান, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, মীর নাসির, শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, আবদুস সালাম পিন্টু, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, মোসাদ্দেক আলী ফালু, ওসমান ফারুক, রুহুল আলম চৌধুরী, মাহমুদুল হাসান, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমীনুল হক, আবদুল আউয়াল মিন্টু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, গিয়াস কাদের চৌধুরী ও শওকত মাহমুদ।
এছাড়া দফতরের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে। তার অধীনে সহ দফতর সম্পাদক তিনজন হলেন- তাইফুল ইসলাম টিপু, মনির হোসেন (স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি) ও বেলাল আহমেদ।
প্রচার সম্পাদক হয়েছেন সাবেক ছাত্র নেতা শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। তার তিন সহ-সম্পাদক হচ্ছেন আমীরুল ইসলাম আলীম, আসাদুল করীম শাহিন ও শামীমুর রহমান শামীম।
কোষাধ্যক্ষ হচ্ছেন মিজানুর রহমান সিনহা এবং উপ-কোষাধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসান বাবু।
বিশেষ সম্পাদক হিসেবে আসাদুজ্জামান রিপন ও আবু নাসের মো. ইয়াহিয়াকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে নতুন কমিটিতে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছোট ছেলে ব্যারিস্টার ড. খন্দকার মারুফ হোসেন, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ ফাঁসি হওয়া দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছোট ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী, নতুন কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিথ আউয়াল, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরীর ছেলে বউ নিপুর রায় চৌধুরী, প্রয়াত সাংসদ নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুর স্ত্রী নাসিমা আখতার কল্পনাকে নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাসকে সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মেয়ে অপর্না রায়কে প্রান্তিক ও জনশক্তি উন্নয়ন বিষয়ক সহ-সম্পাদক করা হয়েছে।
নিখোঁজ হওয়া দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনাকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য করা হয়েছে।
কারাবন্দি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে এবারো নির্বাহী কমিটির সদস্য রাখা হয়েছে।
নতুন কমিটিতে ‘ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক’, ‘প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়ন বিষয়ক’ ‘কর্মসংস্থা বিষয়ক’, ‘বাণিজ্য বিষয়ক’, ‘গবেষণা বিষয়ক’ এবং ‘তথ্য বিষয়ক’ পাঁচটি নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।
লায়ন হারুনুর রশীদকে ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সম্পাদক, এম এ কাইয়ুমকে ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক, আবদুল মালেককে প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক, আজিজুল বারী হেলালকে তথ্য বিষয়ক সম্পাদক, সালাহ উদ্দিন আহমেদকে বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক, জাকারিয়া তাহের সুমনকে কর্মসংস্থান বিষয়ক এবং আবু সাঈদ খান খোকনকে গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সম্পাদক করা হয়েছে।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে পূর্বঘোষিত ১১টি পদে মধ্যে চট্টগ্রামের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে সাহাদাত হোসেন পদত্যাগ করায় তার স্থলে মাহবুবুর রহমান শামীমকে মনোনয়ন দেয়া হয়।
আন্তর্জাতিক সম্পাদকের ৭টি পদের মধ্যে মধ্যে ৫ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এরা হলেন- এহসানুল হক মিলন, মাহিদুর রহমান, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ সম্পাদকরা হলেন- হুমায়ুন কবীর, নজরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট ফাহিমা মুন্নী, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাম বেবী নাজনীন, শাকিরুল ইসলাম শাকিল।
আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী গৌতম চক্রবর্তীকে পল্লী উন্নয়ন, সাবেক ছাত্রনেতা কামরুজ্জামান রতনকে সমাজ কল্যাণ বিষয়ক, অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদকে মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক, ফরিদ হোসেন মানিককে প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক, জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলামকে ক্রীড়া বিষয়ক, লে. কর্নেল (অব.) জয়নাল আবেদীনকে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক, নুরে আরা সাফাকে মহিলা বিষয়ক, চিত্র নায়ক আশরাফ হোসেন উজ্জ্বলকে সাংস্কৃতিক বিষয়ক, মা মা চিনকে উপজাতি বিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে।
যুব ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক পদে কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি।
মন্তব্য চালু নেই