জেনে নিন কেন আপনার খালি পায়ে হাঁটা উচিত

খালি পায়ে হাঁটার বিষয়টি এখন আমাদের অনেকের একেবারেই করা হয় না। যদিও এ বিষয়টির রয়েছে যথেষ্ট উপকারিতা। এ লেখায় রয়েছে তেমন কিছু উপকারের কথা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে লিটলথিংস ডট কম।

১. ব্যথা-বেদনা কমায়
সারাদিন জুতা পরার কারণে আপনার পা গরম হয়ে যেতে পারে এবং তা পায়ের নানা অস্বস্তির কারণ হতে পারে। আর এ কারণে সম্পূর্ণ দেহেই নানাভাবে প্রভাব পড়তে পারে। তবে এ পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে যাবে যদি আপনি জুতা খুলে রাখেন।

২. অস্থিসন্ধি, মাংসপেশি ও টেন্ডন মজবুত হবে
পায়ের জুতা কিংবা অনুরূপ অন্য সব জিনিস বর্জন করলে আপনি প্রাকৃতিকভাবে হাঁটতে পারবেন। এতে আপনার পায়ের অস্থিসন্ধির সমস্যা লাঘব হবে, মাংসপেশি ও টেন্ডন মজবুত হবে।

৩. ঘুমের উন্নতি
খালি পায়ে হাঁটলে শুধু হাঁটার সময়েই যে তার উপকারিতা পাওয়া যাবে এমনটা নয়। এর ফলে আপনার ঘুমেরও উন্নতি হবে।

৪. রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি
খালি পায়ে হাঁটলে তা পায়ের পেশিগুলোর কার্যক্রমকে স্বাভাবিক রাখে। ফলে রক্তচলাচল বৃদ্ধি পায়। এতে দেহের টিসুগুলো সুস্থ ও স্বাভাবিক হয়।

৫. মানসিক চাপ কমে
খালি পায়ে হাঁটলে শুধু শারীরিক উপকারিতাও পাওয়া যায় না, তা মানসিকভাবেও উপকার করে। চিকিৎসকরা বলছেন, খালি পায়ে হাঁটলে মাটি, বাতাস, পানি ইত্যাদি পরিবেশের নানা উপাদানের সঙ্গে সংস্পর্শ ঘটায়। এতে শরীর শিথিল হয় এবং মানসিক চাপ কমে যায়।

৬. শারীরিক ভঙ্গিতে উন্নতি
হাই হিল, জুতা কিংবা স্যান্ডেলের কারণে শারীরিক ভঙ্গিতে নানা সমস্যা তৈরি হয়। অনেকেই সোজা হয়ে দাঁড়াতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন। যদিও এসব জিনিস ত্যাগ করে খালি পায়ে হাঁটলে শারীরিক ভঙ্গিতে যথেষ্ট উন্নতি হবে।

খালি পায়ে হাঁটা মানে দেহে বেশি করে সূর্যের আলো গ্রহণ করা। আর সূর্যের আলো দেহের ভিটামিন ডি-র অভাব পূরণ করতে সহায়তা করে। এতে হাড় শক্ত হয় এবং নানাভাবে দেহের উপকার করে।

৮. পায়ের গন্ধ দূর করে
অনেকেই জুতা পরে থাকায় পায়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হয়। আর এ কারণে দুর্গন্ধও সৃষ্টি হয়। যদিও খালি পায়ে হাঁটলে তাতে পায়ের ব্যাকটেরিয়া বসবাসের পরিবেশ নষ্ট হয়। ফলে ব্যাকটেরিয়া কমে যাওয়ায় পায়ের দুর্গন্ধও দূর হয়।

৯. পৃথিবীর সঙ্গে বন্ধন
খালি পায়ে থাকলে তাতে প্রকৃতির সঙ্গে দেহের একটি মজবুত সম্পর্ক তৈরি হয় বলে মনে করেন অনেকেই। আর এ কারণে খালি পায়ে থাকা পৃথিবীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা বলে মনে করা হয়। ফলে খালি পায়ে থাকার ফলে শারীরিক ও মানসিক উভয় ধরনেরই বন্ধন তৈরি হয় পৃথিবীর সঙ্গে।



মন্তব্য চালু নেই