জেনে নিন কর্মজীবন শুরুর পর যে খুশিগুলো হারিয়ে যায়

পড়ালেখার চাপ, আসাইনমেন্ট, পরীক্ষা এবং শিক্ষকদের বকুনির কারণে অনেকেই যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব ছাত্রজীবন থেকে মুক্তি পেতে চান। জীবনের সব চাইতে কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়ায় পড়ালেখা করার বিষয়টি। মনে হতে থাকে কতো দ্রুত ছাত্রজীবনের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

কিন্তু জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় এই ছাত্রজীবন। কারণ এর পরবর্তী জীবনে পা দেয়ার সাথে সাথে পাল্টে যায় পুরো পৃথিবী। জীবন থেকে হারিয়ে যায় নানা রঙ। এমন কোনো মানুহস খুঁজে পাওয়া যাবে না যিনি ফেলে আসা ছাত্রজীবনে ফেরত যেতে চান না। যারা কর্মজীবনে রয়েছেন তারা সকলেই ফিরে পেতে চান তার হারিয়ে যাওয়া খুশিগুলো।

১) বন্ধুবান্ধবের সাথে অর্থহীন আড্ডা

ক্যাম্পাসে ক্লাসের ফাঁকে এবং শেষে অনর্থক বসে থেকে বন্ধুদের সাথে মন খুলে আড্ডা দেয়া। বিনা দ্বিধায় সব কিছু শেয়ার করার খুশি হারিয়ে যায় ছাত্রজীবন শেষ হলেই। কর্মজীবনে সব কিছুই ছকের ভেতরে থেকে করতে হয়। বন্ধুদের সাথে আড্ডাও সীমিত হয়ে আসে।

২) হুটহাট ঘুরতে বেড়িয়ে যাওয়া

মন চাইলে বন্ধুদের সাথে প্ল্যান করে ঘুরতে চলে যাওয়া যায় হুট করেই। পকেটে টাকা থাকুক বা না থাকুক মনে ইচ্ছায় টাকা যোগার করে হুটহাট বেড়িয়ে আসার খুশি হারিয়ে যায় কর্মজীবনে। পকেটে টাকা থাকলেও ছুটির দরখাস্ত নিয়ে বসের কাছে যাওয়ার ইচ্ছে হয় না অনেকেরই।

৩) শীত ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি

ছাত্র জীবনের সব চাইতে উপভোগ্য সময় হচ্ছে শীত ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি। টানা এতোদিনের ছুটি ছাত্রজীবন বাদে আর পাওয়া সম্ভব হয় না একেবারেই। যদিও যারা শিক্ষকতা করেন তারা কিছুটা হলেও পান এই ছুটি কিন্তু বাকি সবারই পুরো বছর ছুটির জন্য হা-হুতাশ করে কাটাতে হয়।

৪) কাজবিহীন সপ্তাহের ছুটির দিনগুলো

ছাত্রজীবনে প্রতিদিনই অনেকটা করে সময় থেকে যায় যার ফলে সপ্তাহের ছুটির দিনগুলো পুরোপুরি উপভোগের জন্য থেকে যায়। কিন্তু কর্মজীবনে সপ্তাহের প্রতিদিন কাজ করে নিজের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক কাজ জমে যায় যা ছুটির দিনে করতে হয়।

৫) নিজের খুশি মতো পোশাক পড়ে ঘুরে বেড়ানো

যারা কর্পোরেট চাকুরী করেন তারা ছাত্রজীবনের দিনগুলো খুব বেশি মনে করেন। কারণ সারাদিন ফিটফাট পোশাকে মূর্তির মতো বসে কাজ করে বাঁধন ছাড়া দিনগুলোর কথা একটু বেশিই মনে পড়ে যায়।

৬) দুশ্চিন্তা মুক্ত দিন

একটু আধটু পরীক্ষার দুশ্চিন্তা ছাড়া জীবনের অনেক বড় কোনো কিছু নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে দেখা যায় না কাউকেই ছাত্রজীবনে। কিন্তু কর্মজীবনে ঢোকার পর থেকে দুশ্চিন্তা যেনো পিছুই ছাড়তে চায় না। তখন টেনশনবিহীন ছাত্রজীবনের কথা অনেক বেশি মনে পড়ে যায়।

৭) যখন তখন টানা ঘুম

ধরা বাঁধা সময় নেই, ইচ্ছে হলেই সকালের ক্লাস ফাকি দিয়ে টানা ঘুম দিয়ে দুপুরে উঠার যে আনন্দ তা পুরোপুরি হারিয়ে যায় কর্মজীবনে। প্রতিদিন একই রুটিনে সকালে ঘুম থেকে উঠার যন্ত্রণা ভোগ করেন সকলেই।

৮) রুটিনবিহীন জীবন

অনেকই ছাত্রজীবনে কোনো ধরা বাঁধা নিয়মের মধ্যে চলেন না। বিশেষ করে ইউনিভার্সিটি হলে তো প্রতিদিনের ক্লাসের হিসেবে ধরা বাঁধা কোনো নিয়ম থাকে না। তখন অনির্দিষ্টতার মধ্যে যে আনন্দ থাকে তা পুরোপুরি হারিয়ে যায় কর্মজীবনের গৎবাঁধা নিয়মের মধ্যে চলে।



মন্তব্য চালু নেই