জুতার গন্ধ নিয়ে সমস্যয় আছেন? এই কৌশল শিখে নিজে বাঁচুন; অন্যকে বাঁচান

জুতা পায়ে দিলে অনেক সময় কারও কারও পায়ে এবং জুতায় দুর্গন্ধ হয়। এমনকি অনেক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার পরও এই উৎকট গন্ধের হাত থেকে রেহাই মেলে না।

গরমকালে এই সমস্যায় কম বেশি সবাইকে পড়তে হয়। যার জুতা থেকে দুর্গন্ধটা বের হয়, সে হয়তো গন্ধটা ততটা অনুভব করে না; কিন্তু বন্ধুবান্ধব বা আশপাশে যারা থাকে, তাদের নাকে এই গন্ধটা বড় বেশিই লাগে, ঘরময় হয়ে যায় বিশ্রী গন্ধটা।

জুতা বা মোজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে নাক চেপে ধরে পালাতে পারলে তারা বাঁচে। যার জুতায় দুর্গন্ধ, তাকে তখন বেশ বিব্রতই এবং লজ্জা বোধ করতে হয়। এটি তার সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়, উপায় খোঁজে পরিত্রাণের। তাই জুতোর গন্ধের পেরেশানি থেকে মুক্তি দিতে ১০টি উপায় বাতলে দেওয়া হলো।

১. গরমে পা ঘামা ও জুতার দুর্গন্ধ হওয়া থেকে বাঁচতে আপনার পা এবং পায়ের নখ সব সময় পরিস্কার রাখতে হবে।

২. পায়ে ঘাম ও ধুলোময়লা জমে অনেকেরই ফাংগাল ইনফেকশন হয়। এ থেকে রক্ষা পেতে হলে সুতির মোজা পড়তে হবে। দীর্ঘক্ষণ মোজা পরে থাকলে যেখানে সুযোগ পাবেন সেখানে পা ভালো করে ধুয়ে পরিস্কার করবেন। এতে করে জুতা দুর্গন্ধ হবে না।

৩. জুতা পড়ার আগে প্রতিবার পা মুছে নিতে হবে। পায়ে কোনো ময়লা বা পানি যেন জুতোর মধ্যে প্রবেশ না করতে পারে, সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

৪. জুতো জোড়া সবসময় শুকনা রাখতে হবে। জুতোর ভিতরে ভিজলে তা রীতিমতো নোংরা একটা কুকুরের মতো গন্ধ ছড়ায়। কাজেই পা বা জুতো কোনোটিই ভিজতে দিবেন না।

৫. পা এবং জুতো দুটোই শুকনো, তবুও বিশ্রী গন্ধ। এমন হলে পায়ের স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। পায়ের জন্যেও সুগন্ধী রয়েছে। এগুলোর দাম বেশি না। তা ছাড়া সামান্য অর্থ খরচ করে হলেও মানুষের সামনে মান-সম্মান তো বাঁচাতে হবে।

৬. একটি স্যাচেটে বা ছোট কাপড়ে সামান্য পরিমাণ বেকিং সোডা জুতোর মধ্যে রেখে দিন। ঘুমানোর আগে রেখে দিলে রাত পোহাতেই গন্ধহীন জুতো পড়ে বেরোতে পারবেন। রান্নাঘরের এই সাধারণ উপকরণটি অহরহ পাওয়া যায়। এটি গন্ধ শুষে নিতে ভালো কাজ করে।

৭. পায়ের সারা দিনের ঘাম জমা হয় পায়ের তলায়। আর সেখান থেকে লেগে যায় জুতোর সুখতলায়। ধীরে ধীরে সেখানে দেখবেন তেল চিটচিটের মতো ময়লা জমে গেছে। এটিই বাজে গন্ধের মূল উৎস। যাদের পা ঘামে তারা কিছু দিন পর পর জুতোর সুখতলাটি বদলে নেবেন।

৮. একে ফেব্রিক কন্ডিশনারও বলা হয়। কাপড় ধোয়ার সময় কাপড় যেনো নষ্ট না হয়ে যায় এর জন্য ফেব্রিক সফটনার ব্যবহার করা হয়। এটি তরল অবস্থা ছাড়াও পাতলা টিস্যুর অবস্থায় কিনতে পাওয়া যায়। জুতো প্রতিবার ব্যবহারের মাঝখানে এর সুখতলায় এক টুকরো ফেব্রিক কন্ডিশনার দিয়ে রাখলে এর গন্ধ দূর হয়। এর বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা না করা হলেও সম্ভবত এটি দুর্গন্ধ শোষন করে এবং সুগন্ধি ছড়ায়।

৯. জুতা যদি পায়ে দিতেই হয়, তাহলে চামড়া বা কাপড়ের জুুতা ব্যবহার করুন। এতে বাইরের বাতাস জুতার ভেতর যাওয়া-আসা করতে পারবে, ফলে পা ঘামবে কম। বাসায় ফিরে জুতা শুকাতে দিন, এক রাতে ভালোভাবে নাও শুকাতে পারে, রোদে দিন। তাই এক জোড়া জুতাই পর পর দুই দিন পায়ে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। জুতার ভেতর ট্যালকম পাউডার, বরিক এসিড পাউডার বা দুর্গন্ধনাশক ব্যবহার করতে পারেন।

১০. বহু চেষ্টাতেও এই গন্ধ থেকে মুক্তি না পেলে বুঝতে হবে, আপনার পা অথবা জুতোয় কিছু ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে এই গন্ধের জন্ম হয়েছে। সে ক্ষেত্রে এক হাতে সুতির উল এবং অপর হাতে অ্যালকোহলের বোতলটি তুলে নিতেই হবে। এবার সুতির উল নিয়ে তা বলের মতো বানিয়ে অ্যালকোহলে চুবিয়ে নিন। অ্যাকোহলে চুপসে গেলে বলে চাপ দিয়ে কিছু তরল ঝেড়ে ফেলুন। তারপর ভেজা বলটি জুতোর চারপাশে এবং ভিতরে ঘষুন। পায়ের তলাতেও এ কাজটি করতে পারেন। এতে ব্যাকটেরিয়া মরে যাবে এবং আপনিও হবেন গন্ধমুক্ত।



মন্তব্য চালু নেই