জীবন বদলে দেবে নেপালের এই ৩টি অ্যাডভেঞ্চার!
প্রকৃতিকে আরও কাছ থেকে দেখতে আমরা কে না চাই? কিন্তু কখনো কখনো তার জন্য হতে হয় বেশ খানিকটা সাহসী, নিতে হয় কিছু রোমাঞ্চকর পদক্ষেপ। যতই আপনি প্রকৃতির আদিমতায় প্রবেশ করবেন, ততই জানবেন, বিস্মিত হবেন। কিন্তু আদিমতা সহজলভ্য নয়। আসুন জেনে নিই, আপনার অভিজ্ঞতাকে দূর্দান্ত রোমাঞ্চে ভরে দিতে কী কী আয়োজন থাকছে কাছের দেশ নেপালে।
বাঞ্জি জাম্পিং
এটি একটি চূড়ান্ত পর্যায়ের রোমাঞ্চকর কাজ। বশ্বের অনেক অঞ্চলেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে বাঞ্জি জাম্পিং। কিন্তু নেপালে কোন বাঁধা নেই এ ব্যাপারে। দ্যা লাস্ট রিসোর্ট নামের একটি কোম্পানি নেপালের একমাত্র বাঞ্জি জাম্পিং কার্যক্রম অপারেট করেন। সমূদ্রপৃষ থেকে ১৬০ মিটার উঁচু একটি ব্রীজ থেকে লাফিয়ে আপনার শরীর যখন পড়তে থাকবে নিচে ভাবুন তো একবার কি হবে আপনার অনুভূতি? জীবনে অন্তত একবার তো এই অনুভূতি নেওয়াই চাই! তবে লাস্ট রিসোর্টে আপনি আরও কিছু রোমাঞ্চের দেখা পাবেন একই সাথে। যেমন- ক্যানিয়ন সুইং, ক্যানইং, মাউন্টেন বাইকিং, রাফটিং ইত্যাদি।
পুরো রিসোর্টিই যেন প্রকৃতির অংশ। সর্বদা সেখানে বিরাজ করে শান্তি আর নিরবতা। প্রকৃতির মাঝে এই বাঞ্জি জাম্পিং বদলে দিতে পারে জীবন সম্পর্কে আপনার ধারণা।
প্যারাগ্লাইডিং
রোমাঞ্চকর প্যারাগ্লাইডিং করতে হলে যেতে হবে পোখারায়। এটি পরিচালিত হয় সারাংকোট থেকে। আকাশের বুকে এই ভ্রমণে আপনি দেখতে পাবেন অন্নপূর্ণা রেঞ্জ এবং লেকের এরিয়াল ভিউ। অন্নপূর্ণার অসাধারণ রূপ আকাশে ভেসে দেখার অভিজ্ঞতা কতটা আনন্দদায়ক হতে পারে তা নিশ্চয়ই ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়! পোখরা এয়ারপোর্ট থেকে বিমানে আপনাকে যেতে ফিশটেইল বেস ক্যাম্পে। ২য় অপশন হল য়াল্ট্রা লাইট এয়ারক্রাফট। চমৎকার এই অভিজ্ঞতা যেন মাটির ধরায় স্বর্গ ভ্রমণ।
এভারেস্ট বেস ক্যাম্প
এভারেস্টে চড়া না হয় অসম্ভব, কিন্তু এর বেস ক্যাম্পে যেতে পারেন অনায়াসে। তবে হ্যাঁ, এজন্যেও বুকে সাহস, মনে বল চাই কিন্তু। অবশ্যই আবহাওয়ার খবরাখবর নিয়ে ট্র্যাকিং শুরু করবেন। ১৬ দিনের এভারেস্ট বেস ক্যাম্পের এই ট্র্যাকিং এ যেমন শ্বাসরুদ্ধকর সব অভিজ্ঞতা হবে আপনার তেমনি হবে নতুন নতুন রোমাঞ্চের সাথে পরিচয় প্রতি পদে। অভুতপূর্ব সব প্রকৃতিক দৃশ্য দেখতে পাবেন আপনি যা শুধু এভারেস্টের ওই অঞ্চলেই মিলবে। এটি ৫,৩৬৪ মিটার উঁচুতে অপেক্ষা করছে আপনার জন্য।প্রিয়.কম
মন্তব্য চালু নেই