জীবনের পর মরণেও একসঙ্গে
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ের দম্পতি আইজ্যাক ভাটকিন ও তেরেসা। সুখে-দুঃখে একসঙ্গে কাটিয়েছেন ৬৯টি বছর! পরস্পরকে ছেড়ে থাকার কথা ভাবনাতেই আসেনি তাঁদের। জীবনের পর তাই মরণেও তাঁরা পরস্পরকে ছাড়তে পারেননি, একই দিনে এক ঘণ্টারও কম সময়ের ব্যবধানে মারা গেছেন এই দম্পতি।
বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, ৮৯ বছর বয়সী তেরেসা আলঝেইমারে ভুগছিলেন। স্বামী আইজ্যাক ভাটিকনের হাতে হাত রেখে গত শনিবার তিনি মারা যান। এই শোক সইতে পারেননি স্বামী। স্ত্রীর মৃত্যুর ৪০ মিনিট পর মারা যান তিনিও। এ সময় স্ত্রীর হাত ধরে ছিলেন তিনি।
এই দম্পতির নাতি উইলিয়াম ভাটকিন বলেন, ‘দাদা-দাদি আমাদের ছেড়ে চলে যাক, আমরা কখনো চাইনি। জীবনের পর মরণেও তারা পরস্পরের সঙ্গী হয়েছেন, এরপর আর কী বলার থাকতে পারে আমাদের!’
আইজ্যাক-তেরেসার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে মেয়ে ক্লারা জ্যাকলিন বলেন, ‘পরস্পরের জন্য তাঁদের গভীর ভালোবাসা ছিল। একজনকে ছাড়া আরেকজন থাকতে পারতেন না। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তাঁদের এই ভালোবাসা অক্ষুণ্ন ছিল। জীবনের পর মরণযাত্রাও পরস্পরকে ছাড়েননি তাঁরা।’
স্থানীয় হাইল্যান্ড পার্ক হাসপাতালের কর্মীরা জানালেন, শনিবার আইজ্যাক ও তেরেসার নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। তখন তাঁরা তাঁদের বিছানা দুটিকে পাশাপাশি রাখতে বলেন। পরিবারের সদস্যরা এমনভাবে তাঁদের রাখেন, যাতে তাঁরা পরস্পরের হাত ধরে থাকতে পারেন। আর এভাবেই হাত ধরা অবস্থায় মারা যান এই দম্পতি।
আইজ্যাক ভাটকিন মাংসের বিতরণকারী ছিলেন। আর ঘর সামলাতেন তেরেসা। তবে শখের বশে রূপসজ্জার কাজও করতেন তিনি। তাঁদের তিন সন্তান। সন্তানদের পাশাপাশি নাতি-নাতনিদের সঙ্গেও সুন্দর সম্পর্ক ছিল আইজ্যাক-তেরেসা দম্পতির।
মন্তব্য চালু নেই