জিয়া হত্যায় হাসিনাকে নিয়ে জনমনে প্রশ্ন আছে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘৭৫ এর পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছেন ১৭ মে আর জিয়াউর রহমান শহীদ হয়েছেন ৩০ মে। এ দুটি ঘটনার মধ্যে কোনো সম্পর্ক আছে কি না তা নিয়ে জনগণের মনে প্রশ্ন আছে।’
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনার দেশে ফেরা ও জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর সঙ্গে বিএনপি কোনো সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, ‘কোনো সম্পর্ক আছে কি না তা নিয়ে জনগণের মধ্যে প্রশ্ন আছে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত হয়েছে। মানুষের দৃষ্টি এখান থেকে ভিন্ন খাতে ফেরানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী অসত্য ইস্যুকে সামনে নিয়ে এসেছেন। শেখ হাসিনা বলেছেন শেখ মুজিবকে হত্যার পরে জিয়াউর রহমান মোশতাককে সেনাপ্রধান করেছেন। শেখ মুজিবকে হত্যার সময় এ কে খন্দকার বিমানবাহিনীর প্রধান ছিলেন। এ কে খন্দকারকেই মন্ত্রী বানিয়েছেন শেখ হাসিনা। তা হলে কি আমরা বলতে পারি যে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার সঙ্গে শেখ হাসিনা জড়িত? এটা কোনো যুক্তির কথা নয়।’
অতীতে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে জিয়া হত্যাকাণ্ড নিয়ে কিছু তদন্ত হয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগামীতে ক্ষমতায় গেলে নতুন করে জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত করা হবে।’
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অযৌক্তিক বলে বর্ণনা করে ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর এ ধরনের বক্তব্যে আমরা বিস্মিত হইনি। কারণ, স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে তিনি এভাবে কথা বলতে অভ্যস্ত। জাতি তার এ মিথ্যা ভাষণ ও বাচনভঙ্গির সঙ্গে পরিচিত।’
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কাঁচের ঘরে বসে অন্যের প্রতি ঢিল ছুড়বেন না। যতই মিথ্যাচার করুন লাভ হবে না। জিয়াউর রহমান নিজের কীর্তির জন্য জনগণের কাছে ভাস্বর হয়ে থাকবেন।’
মন্তব্য চালু নেই