জিয়া খানের আত্মহত্যার সঙ্গে জড়িত সুরাজ!
বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খানের আত্মহত্যার রহস্য উন্মোচনে এখনও তদন্ত চলছে। আর এবার সেই তদন্তের জেরেই অভিনেতা সুরাজ পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে হত্যা এবং ধর্ষণ অভিযোগ দায়ের করার আর্জি করেন পাবলিক প্রসিকিউটর।
বৃহম্পতিবার এই অভিযোগ দায়েরের আগেও তার বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
বিশেষ নারী আদালতে চলমান এ মামলা সম্পর্কে পাবলিক প্রসিকিউটর কল্পনা হিরে আদালতকে বলেন, ‘রাবেয়া (জিয়ার মা) এ মামলার বাদী। এটি ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩০২ ধারার (হত্যা) একটি মামলা।
তিনি (জিয়ার মা) প্রথম জিয়ার মৃতদেহ দেখেছিলেন। তিনি এখন দাবি করছেন, সুরাজের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ দায়ের করা হোক।’ এ মামলার একটি সূত্র জানিয়েছে, ট্রায়াল কোর্ট নির্ধারণ করবেন অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কী অভিযোগ দায়ের করা হবে।
এ মামলার বিশেষ বিচারক এএস শিন্ডে বিষয়টি নিয়ে ২০ মে যুক্তিতর্ক শুনবেন।
এদিকে কল্পনা হিরের যুক্তির বিপরীতে সুরাজ পাঞ্চোলির আইনজীবী প্রশান্ত পাতিল আদালতকে জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করার বিষয়ে কোনো প্রমাণ নেই। তিনি এও জানান পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে আত্মহত্যার বিষয়ে প্ররোচনারও কোনো প্রমাণ নেই।
২০১২ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল সুরাজ পাঞ্চোলি এবং জিয়ার। এরপর তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে এবং প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। ২০১৩ সালের ৩ জুন আত্মহত্যার আগে সুরাজের বাড়ি থেকেই নিজের বাড়িতে ফিরে যান জিয়া। তার আগের তিনদিন তিনি সুরাজের বাড়িতে ছিলেন।
বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর সুরাজ এবং জিয়া দুজনেরই পরিচিত এক মেয়ে বন্ধুকে নিয়ে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এরপর অতিরিক্ত মেসেজে বিরক্ত হয়ে সুরাজ রাগ করে বিবিএম (ব্ল্যাক বেরি ম্যাসেঞ্জার) বন্ধ করে দেন।
এরপর মধ্যরাতে জিয়া সুরাজকে ফোন করেন এবং সে সময়ও তাদের মধ্যে অনেক তর্ক হয়। এরপর সুরাজ জিয়াকে গালিগালাজ দিয়ে মেসেজ পাঠান। এরপর জিয়ার মা রাবেয়া বাড়িতে ফিরে এসে দেখেন জিয়া তার শোবার ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই