জিয়া উদ্যানে আমরা ১৯ বার শারীরিক সম্পর্ক করেছি…
আমাদের সম্পর্ক দুবছর হল। শাম্মিকে (ছদ্মনাম) আমি ছোটবেলা থেকেই পছন্দ করি। আমি যখন শাম্মিকে প্রপোজ করি ও তখন জেএসসি পরীক্ষার্থী আর আমি এইচএসসি পরীক্ষার্থী। এ দু-বছরে ওর সাথে প্রতিদিন বিকেলে জিয়া উদ্যানে খুব ঘনিষ্ট সময় পার করি।
আমাদের সম্পর্ক খুব ভালোভাবেই চলতে থাকে। এই দু বছরে আমি শাম্মির সাথে জিয়া উদ্যানে আমি ১৯ বার শারীরিক সম্পর্ক করেছি। কিন্তু রিলেশনের প্রথম থেকেই ও একটা পরিচিত ছেলের সাথে রেগুলার ফোনে কথা বলত, এবং মাঝে মধ্যেই ঐ ছেলের সাথে দেখা করত, লিপকিস করত আর ইত্যাদি। কিন্তু আমি জানতাম নাহ এবং ওকে অনেক বিশ্বাস করতাম এই জন্য কেউ বললেও তাদের কথা বিশ্বাস করতাম নাহ।
কিন্তু আমি যখন জানতে পারলাম তখন ও বলে ও আমার ফ্রেন্ড। কোন ভাবেই ওকে অই সব কাজ থেকে বিরত রাখতে পারছিনা। ১৪বার কসম করেও রাখেনি। ও বলে শুধু আমাকেই চায় আমাকে ছাড়া বাঁচবেনা এখন আমি কি করব? আমাকে কিছু পরামর্শ দিন। প্লিজ!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন তরুণ এই ভাবে বলেন তার সমস্যার কথা। দেশের প্রথম সারির এক গণমাধ্যমের বারাত দিয়ে খবরটি প্রকাশ করা হয়েছে।
পরামর্শ –
দেখেন ভাইয়া, আমার মনে হয় না মেয়েটি তোমাকে ছাড়া মরে যাবে। এগুলো কথার কথা। মেয়েটিকে আমার মোটেও ভালো মনে হচ্ছে না। মনে রাখবে, পৃথিবীতে কেউ কারো জন্য মরে যায় না। এই কথাটা একদম ফালতু কথা। এই মেয়েটির কাছ থেকে সরে যাওয়াই তোমার জন্য ভালো হবে, যদি না সে ওই ছেলেটির কাছ থেকে সরে যায়। আর আমার মনে হয় না এত অল্প বয়সে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোটা তোমাদের উচিত হয়েছে। যে কোন সময় যে কোন দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
দুজনের জীবনই তখন অভিশাপে পরিণত হবে। আর জিয়া উদ্যানে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাও, এটা মোটেও কোন গর্বের কথা না। বরং অত্যন্ত লজ্জাজনক একটি বিষয়। ভালোবাসা মানে শারীরিক সম্পর্ক আর পার্কে ঘনিষ্ঠ হওয়া না। ইনফ্যাক্ট, এটা ভালোবাসার কোন ক্যাটাগরিতেই পড়ে না। এসব ছেড়ে লেখাপড়ায় মন দাও। মানসিক ভালোবাসার দিকে নজর দাও। জীবনটা অনেক সুন্দর হয়ে উঠবে। এতসব আজেবাজে জিনিস নিয়ে ভাবনার সময় এখনো হয়নি।
তথ্যসুত্রঃ ইন্টারনেট
মন্তব্য চালু নেই