জিহাদে যেতে আইএস’র সঙ্গে জেএমবির যোগাযোগ
জামা’আতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবির) এর একাংশের সদস্যরা রাষ্ট্রের ভিআইপিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করেছিল। এ হামলার মধ্য দিয়ে তারা মধ্যপ্রাচ্যের আইএসআইকে জানান দিতে চেয়েছিল তারা সেখানে জিহাদে অংশ নেয়ার জন্য দক্ষ। আর এমন কথাই স্বীকার করেছে জেএমবির ভারপ্রাপ্ত আমির আব্দুল্লাহ আল তাসনিমসহ গ্রেপ্তারকৃত সাত জঙ্গি।
শুক্রবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইতোপূর্বে তারা বেশ কয়েকটি হামলার পরিকল্পনাও করেছিল। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। তারা ইতোমধ্যে বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে আইএসআই এর সঙ্গে লিংক তৈরির জন্য এবং ঝিমিয়ে পড়া জঙ্গিদের মাঝে উদ্দীপনা ফিরিয়ে আনার জন্য এসব হামলার পরিকল্পনা করেছিল।
তিনি আরও জানান, ইরাক ও সিরিয়াকে জিহাদে অংশ নেয়ার জন্য মধ্যপ্রাচ্যের আইএসআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এজন্য পাসপোর্ট তৈরি করেছিল তারা। হামলার মাধ্যমে তারা প্রমাণ করতে চেয়েছিল, আইএসআইয়ের জিহাদে অংশ নেয়ার মতো দক্ষতা তাদের রয়েছে। তারা এসএসসি ন্যাশন পার্টির একটি সাপোর্টিং পার্টি এবং সেখানে তারা সবাই আছে। এছাড়াও বান্দরবান জেলায় প্রশিক্ষণ ক্যাম্প গড়ে তুলেছে তারা।
তবে তাদের দেয়া তথ্য যাচাই বাছাই করা হবে বলেও জানান মনিরুল ইসলাম।
মনিরুল জানান, তারা ফারুকী হত্যারও কিছু তথ্য দিয়েছে। আমরা তাদের দেয়া তথ্যগুলি খতিয়ে দেখছি।
তাদের সবাইকে দশ দিনের জন্য রিমাণ্ড আবেদন করা হবে। এ ঘটনায় তুরাগ থানায় অস্ত্র, সন্ত্রাস ও বিস্ফোরক মামলায় দুটি মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে রাজধানীর তুরাগ থেকে জেএমবির সাত জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেপ্তাকৃতরা হলো- জেএমবির একাংশের ভারপ্রাপ্ত আমির আব্দুল্লাহ আল তামনীম ওরফে নাহিদ (২৯), নাঈম আলী (২৮), সিকান্দার আলী ওরফে নকি (২৫) মাহমুদ ইবনে বাশার (২৩), মাসুম বিল্লাহ (২৬), ফুয়াদ হাসান (১৮) ও আলী আহমেদ (২৪)।
মন্তব্য চালু নেই