বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বলে কথা?
প্রতিপক্ষের সামনে ব্যাট আর বল সমান তালে ত্রাস সৃষ্টি করতে না পারলে কী আর সবার সেরা হওয়া যায়? এর উত্তর হবে, অবশ্যই না। সাকিব আল হাসান বিষয়টি জানতেন। তাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ‘সব্যসাচী’ ভূমিকা নিয়েই সিরিজের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হলেন তিনি। কারণ, দলের সিরিজ জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়া ক্রিকেটারের নাম সাকিবই।
চট্টগ্রামে সদ্য শেষ হওয়া তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ব্যাটে-বলে নৈপূণ্য দেখিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন সাকিব। ব্যাট হাতে ২৫১ রান করার পাশাপাশি বল হাতে ১৮ উইকেট দখল করেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। এর মাঝে হোম ভেন্যু খুলনার শতকের সুরভি ছড়ান সাবেক বাংলাদেশ অধিনায়ক। তাছাড়া তিন টেস্টের পরিক্রমায় দারুণ কিছু নজিরও বগলদাবা করেন তিনি।
অন্য দিকে চট্টগ্রাম টেস্টসহ গোটা সিরিজে ধারাবাহিকতার প্রতিশব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মুমিনুল হক। সিরিজের তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে দুই রানের জন্য অর্ধশতক মিস করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে আবার সেই একই ভুল করেননি। সাগরিকার দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩২ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের টপ অর্ডারে ভরসা হয়ে ওঠা মুমিনুল সিরিজের প্রথম টেস্টে ঢাকায় প্রথম ইনিংসে ৫৩ রান করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তার ব্যাট হাসেনি। শূন্য রানে আউট হন তিনি। কিন্তু খুলনায় গিয়ে আবারো অর্ধশতকের নজির দেখান তিনি। আর চট্টগ্রামে তো মুমিনুলের ব্যাট খোলা তরবারি হয়ে দেখা দিয়েছে প্রতিপক্ষের জন্য। সব মিলিয়ে এই টেস্ট সিরিজে ৩২১ (৫৩, ০, ৩৫, ৫৪, ৪৮ ও ১৩১) রান করেন মুমিনুল।
মন্তব্য চালু নেই