জিমে তো যান, ‘ফিট’ থাকতে গিয়ে কী কী ভুল করছেন জেনে নিন

ওভার-ওয়েট একেবারেই নয়। রোগা না হলেও, সকলেরই ছিপছিপে শরীরের চাহিদা থাকে।

সুন্দর ফিগার বা ফিজিক-এর তাড়নায় খাওয়াদাওয়া কমিয়ে, প্রাণপণ ওয়ার্কআউট করে ঘেমেনেয়ে একাকার হয়ে যাচ্ছেন। হয়তো তাতে আপনার মনের মতো ফিগার পেয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু, অল্প হলেও ক্ষতি করছেন নিজের। জেনে নিন কী ভাবে—

১। প্রোটিন ইনটেক বন্ধ করে দেওয়া— এটা একেবারেই ভুল পদ্ধতি। অনেকের ধারণা, প্রোটিনযুক্ত খাবারে ফ্যাট বৃদ্ধি পায়। কিন্তু, তা নয়। কসরৎ করার সময়ে শরীরে অ্যামাইনো অ্যাসিড-এর প্রয়োজন হয়, মাসলের টিস্যু ঠিক রাখার জন্য। প্রোটিন সেই অ্যামাইনো অ্যাসিড জোগাতে সাহায্য করে।

২। কসরৎ করুন রুটিনমাফিক— প্রচুর ঢাক-ঢোল পিটিয়ে গ্যাঁটের কড়ি খরচা করে জিম-এ ভর্তি হলেন। মেরেকেটে দু-এক মাস। তারপরে শুধুই বাহানা, আজ অফিসের চাপ, কাল অন্য কোনও চাপ। এ জিনিস নৈব নৈব চ। শত অসুবিধা থাকলেও জিম যাওয়া যেন বন্ধ না হয়।

৩। ‘হৃদয়’-এর যত্ন নিন— ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেডমিলে হেঁটে চলেছেন। ভাবছেন এর ফলে কাঁড়ি কাঁড়ি ক্যালোরি বার্ন হবে, আর আপনিও বেশ রোগা হয়ে যাবেন। পদ্ধতিটি বেঠিক বলা যায় না, তবে পারফেক্ট ফিগার পেতে হলে ট্রেডমিলের পাশাপাশি অল্পবিস্তর ওয়েটলিফটিং-ও করতে হবে।

৪। আড্ডার জন্য বেছে নিন পার্ক বা ক্যাফে— জিমে গিয়ে অযথা গল্প না করে মন দিন ওয়ার্কআউটে।

৫। প্রয়োজন বুঝে কসরৎ করুন— জিমে গিয়ে অযথা নিজেকে জাহির না করে, নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী কসরৎ করুন। পাশের ছেলেটি বেশি ওয়েট তুলছে বলেই কি আপনাকে তা করতে হবে! এতে আপনার মাসেলের টিস্যুর ক্ষতি হতে পারে।-এবেলা



মন্তব্য চালু নেই