জালিয়াতি ও সহিংসতার বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদন পাওয়া গেছে : মার্কিন দূতাবাস

ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও সহিংসতার ঘটনায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কূটনীতিকেরা। তবে এ নির্বাচন থেকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা সরে আসায় দেশে আবারো সহিংসতা ছড়িয়ে পড়বে না বলে তারা আশা করেছেন।

মার্কিন দূতাবাস থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আজ বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ভোট জালিয়াতি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও সহিংসতার যেসব ঘটনা ঘটেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে ব্যাপক ও বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদন পাওয়া গেছে এবং সিটি করপোরেশন নির্বাচন বয়কটের যে সিদ্ধান্ত বিএনপি নিয়েছে তাতে আমরা হতাশ। যেসব অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে তার স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া জরুরি। আইনের আওতায় থেকে কাজ করার জন্য এবং যেকোনো ধরনের সহিংসতা এড়ানোর জন্য আমরা সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই। রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য যেকোনো ধরনের সহিংসতার আশ্রয় নেয়াকে আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।’

ব্রিটিশ হাইকমিশন থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে মাঝপথে বিএনপির সরে দাঁড়ানোর ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে এ সিদ্ধান্তের ফলে ঢাকা ও চট্টগ্রামে আজ রাতে (মঙ্গলবার) এবং আগামী কয়েক দিন সংহিসতা বা বিঘ্ন সৃষ্টিকারী কোনো ঘটনা ঘটবে না।

বিবৃতিতে গিবসন বলেছেন, ‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সব রাজনৈতিক দলকে আজকের ঘটনার প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত। অনিয়মের সব অভিযোগ দ্রুত ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত হওয়া জরুরি। সব রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর দায়িত্ব শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেয়ার পরিবেশ নিশ্চিত করা, যা ভোটারদের গণতান্ত্রিক অধিকার। যারা নির্বাচনে জিতবেন তাদের নিজ নিজ শহরের অধিবাসীদের প্রয়োজন ও ইচ্ছানুযায়ী সেবা দেয়ার দিকে লক্ষ রাখা উচিত।’

এ দিকে সকালে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল ও কলেজ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট বিভিন্ন কেন্দ্রে সহিংসতার খবরে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

ভোটে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে মাঝপথে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, সরকার একটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং জনগণও তা প্রত্যাশা করে। রাষ্ট্রদূত বলেন, নির্বাচন অর্থবহ হতে হলে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার থাকতে হবে।

নির্বাচনের পর সহিংসতা আবারো ফিরে আসতে পারে কি না জানতে চাওয়া হলে রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি আশা করি মানুষ সহিংসতায় লিপ্ত হবে না। এটি গণতন্ত্র ও জনগণের গণতান্ত্রিক সুযোগ থাকা প্রয়োজন।

বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বার্নিকাট বলেন, এটি নির্বাচন কমিশনের দেখার বিষয়।



মন্তব্য চালু নেই