জার্মান এমপিকে বিএনপির স্মারকলিপি
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জার্মান জাতীয় সংসদের সদস্যকে (এমপি) স্মারকলিপি দিয়েছে বিএনপির জার্মান শাখা।
বিএনপি জার্মান শাখার সভাপতি দেওয়ান শফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রেজার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে তারা বলেন, ‘বর্তমান বাংলাদেশের ফ্যাসিস্ট অবৈধ সরকার তার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা সুসংহত করার লক্ষ্যে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের নেতাকর্মীদের খুন, গুম, হামলা ও মামলার মাধ্যমে ভিন্নমত পোষণকারীদের ধ্বংসের ভয়ঙ্কর খেলায় মেতেছে। এক ব্যক্তির জোরপূর্বক ক্ষমতায় টিকে থাকার ইচ্ছায় মুজিববাদী বাকশালী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সারাদেশকে এক ভয়ঙ্কর ও ভীতিকর জনপদে পরিণত করেছে। তারা গুম, খুন ও সংঘাত বন্ধ করে, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে অর্থনীতি ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার লক্ষ্যে অতি দ্রুত কার্যকর সংলাপের মাধ্যমে সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আহ্বান জানান।
তারা এ সময় বাংলাদেশে চলমান সহিংসতা ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে বিচারবহির্ভূত হত্যার ভিডিও ও স্থিরচিত্র উপস্থাপন করেন।
সংসদ সদস্যরা বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষার তাগিদে দ্রুত বিষয়টি জার্মান সংসদে আলোচনা করে একটি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে বিএনপি নেতাদের আশ্বস্ত করেন।
অন্যদের মধ্যে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জার্মান বিএনপির সহ-সভাপতি মনজুর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান শামিম, সহ-সাধারণ সম্পাদক জুয়েল খান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন সোহাগ, প্রচার সম্পাদক মো. শামি, দেলোয়ার হোসেন ঝন্টু, জার্মান ছাত্রদলের আহ্বায়ক নিয়াজ হাবিব প্রমুখ।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে খাবার সরবরাহে বাধা দেওয়ার তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জার্মান বিএনপি।
এক পত্রে জার্মান বিএনপির সভাপতি দেওয়ান শফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রেজা বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী তিনবারের নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অবস্থানস্থলে খাবার সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করে গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যামে তাকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে বর্তমান অবৈধ সরকার। এটা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করে জনগণের দাবি মেনে নিরপেক্ষ ব্যবস্থায় দেশে একটি নির্বাচনের দাবি করেন তারা।
মন্তব্য চালু নেই