জামিন পেয়ে ফেরা হলো না বাড়ি
বড়াইগ্রামে যাত্রীবাহী কেয়া ও অথৈ পরিবহনের যাত্রীবাহী দুই বাসের সংঘর্ষে নিহতদের মধ্যে ১৫ জন ছিলেন জোড়া খুন মামলার আসামি।
সোমবার দুপুরে নাটোর আদালতে তারা এসেছিলেন হাজিরা দিতে। আদালতের কাছে জামিন আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুরও করেন।
কিন্তু জামিন নিয়ে তারা ফিরতে পারলেন না বাড়ি।
নিহত ১৫ জনের মধ্যে নাম পাওয়া গেছে ১১ জনের। তারা হলেন- রব্বেল (৬০), আয়নাল(৪০), আতাহার (৭০), সোরাপ(৪৫), আলাল(৫০), খইর(৪৫), লাবু(৩০), শরিফ(৩০), তিনু(৪৫), ইবাদ(৭০), ছইরুদ্দিন(৪৫)। এরা সবাই নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার শিধূলী গ্রামের বাসিন্দা। এর মধ্যে একই পরিবারের সাতজন রয়েছে।
বেশ কিছুদিন আগে গুরুদাসপুর উপজেলার শিধূলী গ্রামের বাসিন্দা ডা. ইয়ারুল ইসলাম ও আমিরুল ইসলাম খুন হন। এ ঘটনায় উল্লিখিত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। সোমবার নাটোর আদালতে আসামিদের হাজির হওয়ার দিন ধার্য ছিল।
দুপুরে আদালতে হাজিরা দিয়ে তারা জামিন লাভ করেন। পরে আদালত ত্যাগ করে শিধূলী গ্রামে ফিরে যাওয়ার জন্য অথৈ পরিবহনের বাসে ওঠে।
বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বড়াইগ্রামের ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের রাজির মোড়ে কেয়া গাড়ির সঙ্গে তাদের গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সবাই প্রাণ হারায়। বড়াইগ্রামগামী অথৈ ও রাজশাহীগামী কেয়া গাড়ির মধ্যে এ সংঘর্ষে নিহত হয় অন্তত ৩৭ জন। আহত হয় আরো ৩০ জন।
মন্তব্য চালু নেই