জাবি প্রক্টরের অপসারণ দাবিতে মশাল মিছিল

শাহাদত হোসাইন স্বাধীন, জাবি প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহার অপসারণের দাবিতে মশাল মিছিল করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্য ও জাবি সাংস্কৃতিক জোট।

আওয়ার ক্যাম্পাস, আওয়ার রাইট; সেইভ দ্যা ক্যাম্পাস, জয়েন্ট দ্যা ফাইট; যে প্রক্টর ছাত্র মারে সে প্রক্টর চায় না এ ধরনের নানা শ্লোগান দেয়া হয় মশাল মিছিলে।

মঙ্গলবার ( ১০ মে) রাত পৌনে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক গেট থেকে মিছিলটি বের হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে অমর একুশের পাদদেশে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।গত ২৪ এপ্রিল তনু সহ সকল ধর্ষণ হত্যার প্রতিবাদে হরতালের সমর্থনে অবস্হান কর্মসূচিতে জাবি বাম ছাত্রসংগঠনের ছাত্রদের উপর পুলিশী হামলায় প্রক্টরের দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ করা হয় সমাবেশে।

সমাবেশে জাবি সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জুবায়ের টিপু বলেন, ‘ছাত্রদের ওপর এমন একটি ন্যাক্করজনক হামলা হওয়ার পরেও প্রশাসন কোনো সুস্পস্ট বক্তব্য দেননি। বরং তারা এমন একটি বিবৃতি দিয়েছেন যা ছাত্রবিরোধী। এ বিবৃতি দ্বারা প্রশাসন যে ধর্ষক ও খুনিদের পক্ষ নিয়েছে তা স্পষ্ট। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মত একটি প্রগতিশীল বিদ্যাপীঠে প্রশসনের এমন আচরণ আমাদের মর্মাহত করেছে। তাই আমরা বলতে চাই ছাত্ররা যে প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছে তা মেনে নিয়ে আপনারা যে ছাত্র বান্ধব তা প্রমাণ করুন।’

গতিশীল ছাত্রজোটের নেতা ও ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি দীপাঞ্জন সিদ্ধান্ত কাজল বলেন, ‘পুলিশ কখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ছাত্রদের ওপর হামলা করতে পারে না। তাই এটা স্পষ্ট যে, প্রক্টরের মদদে এ হামলা হয়েছে। তাই আমরা প্রশাসনের এ আচরণের ধিক্কার জানাই। অবিলম্বে এ ব্যর্থ প্রক্টরকে অপসারণ করুন। এই প্রক্টরের অপসারণের আগ পর্যন্ত আমরা আন্দোলনের মাঠ ছাড়ছি না।’

প্রসঙ্গত, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী সোহাগী জাহান তনুসহ সব গুম, হত্যা ও ধর্ষণের বিচারের দাবিতে প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যের ডাকা ২৫ এপ্রিল সোমবারের হরতালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক গেটে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় পুলিশ। এতে ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হন এবং গ্রেপ্তার হন ১২ জন।

এ ঘটনায় প্রক্টরের মদদে হয়েছে এমন অভিযোগ এনে ২৫ এপ্রিল থেকেই তার পদত্যাগের দাবিতে টানা আন্দোলন করে যাচ্ছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্য ও জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের নেতাকর্মীরা।



মন্তব্য চালু নেই