জাবির ৯ শিক্ষকের পদত্যাগ, আমরণ অনশন শুরু

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ভবনের তৃতীয় তলা পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগকে হস্তান্তরে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের নয় শিক্ষক। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে আমরণ অনশনও শুরু করেছে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় বিভাগের জরুরি সভা শেষে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিএই বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শরীফ উদ্দিন।

সিএসই বিভাগের পদত্যাগকারী শিক্ষকরা হলেন- সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক হানিফ আলী, বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. শরীফ উদ্দিন, অধ্যাপক ইমদাদুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. গোলাম মোয়াজ্জেম, সহযোগী অধ্যাপক মো. হুমায়ূন কবীর, আবু সাঈদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান, প্রভাষক স্বর্ণালী বসাক, তানজিলা রহমান এবং তাহসিনা হাসান।

বাকি ৬ শিক্ষকও আজ শুক্রবার ক্যম্পাসে এসে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করবেন বলে জানিয়েছেন বিভাগের সভাপতি মো. শরীফ উদ্দিন।

এর আগে গতরাত সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় ‘কম্পিউটার বিজ্ঞান ও ভূ-তাত্ত্বিক বিজ্ঞান’ ভবনের নবনির্মিত তৃতীয় তলার ২৮ হাজার বর্গফুট জায়গা পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগকে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় বলে নিশ্চিত করেন একজন সিন্ডিকেট সদস্য।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল শনিবার অফিস আদেশ জারি করা হবে।’

এর আগে গত ৬ এপ্রিল থেকে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ‘কম্পিউটার বিজ্ঞান ও ভূ-তাত্ত্বিক বিজ্ঞান ভবন’র নবনির্মিত তৃতীয় তলার ২৮ হাজার বর্গফুট জায়গা বরাদ্দের দাবিতে ক্লাস বর্জনসহ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছিল। কিন্তু সিএসই ও ভূ-তাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের দাবি, ভবনের ওই অংশ তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্মাণ করা হয়েছে।

গত ৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট উদ্ভূত সমস্যা সমাধানের জন্য মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। এই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবারের সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ সিন্ডিকেটের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে সিন্ডিকেটের এ সিদ্ধান্তে সমস্যা আরো জটিল হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তা ধরেননি।



মন্তব্য চালু নেই