জাবির সুফিয়া কামাল হল : চালুর ৫ মাস পরেও নেই কোন ডাইনিংয়ের ব্যবস্থা
শাহিনুর রহমান শাহিন, জাবি : চালু হওয়ার প্রায় ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো খাবারের জন্য নেই কোন ডাইনিংয়ের ব্যবস্থা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নবনির্মিত সুফিয়া কামাল হলে। নিজ হলে ডাইনিংয়ে খাবারের ব্যবস্থা না থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে হলের প্রায় ৫ শতাধিক আবাসিক শিক্ষার্থীদের।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৪ মাস পরে গত ১লা আগষ্ট এ হলে ছাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু হল চালু হলেও এখন পর্যন্ত ডাইনিংয়ে খাবারের ব্যবস্থা করতে পারেনি হল প্রশাসন। ছাত্রীদের হলের আশেপাশে কোন খাবারের দোকান না থাকায় ভোগান্তি বহুগুণে বেড়ে গেছে। কখনো অন্য হলে গিয়ে লাইনে দাড়িয়ে, কখনো বট তলায় গিয়ে খাবার খেতে হচ্ছে এ হলের শিক্ষার্থীদের। অনেকে হল থেকে ১০-২০ টাকা রিকসা ভাড়া দিয়ে খাবার গ্রহণের স্থান বটতলায় এসে খাবার খেতে বাধ্য হচ্ছে।
এদিকে হলে ছাত্রীদের ক্যান্টিনে খাবারের ব্যবস্থা করা হলেও হয়নি দামের সুনিদিষ্ট কোন তালিকা। ফলে খাবারের দাম লাগামহীন ভাবে বেড়ে যাওয়ায় একাধিক ছাত্রীর পক্ষে ক্যান্টিনে খাবার গ্রহণ প্রায় অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে।
কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী প্রীতিলতা হলে যেখানে ভাত ৪ টাকা, সবজি ৫ টাকা, মাছ ১৫ টাকা এবং ভাজি ৫ টাকা সেখানে সুফিয়া কামাল হলে ভাত ৬ টাকা, সবজি ১০ টাকা, মাছ ২০ টাকা এবং ভাজি ৮ টাকা কওে নেওয়া হচ্ছে।
ভুক্তভোগী দ্বিতীয় বর্ষের একাধিক ছাত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ক্যান্টিনে অন্য হলের তুলনায় নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। দাম প্রচুর কিন্তুু খাবারে মান ভাল না। খাবার দেখলে অনেক সময় রুচি বন্ধ হয়ে যায়। খাবারের জন্য প্রায় সব হলে ডাইনিংয়ের ব্যবস্থা থাকলেও কেবলমাত্র আমাদের হলে সে ধরনের কোন ব্যবস্থা এখনও গ্রহণ করা হয়নি। ক্যান্টিনে খেতে গেলে অস্বাভাবিক দাম নিচ্ছে যা আমার পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়।
অন্য এক শিক্ষার্থী বলেন, অনেক সময় পরীক্ষার আগের রাতে সময় নষ্ট না করে আমরা অনেকে না খেয়ে থাকতে বাধ্য হই কেননা খাবার খেতে হলে হয় অন্য হলে না হয় বট তলায় (নির্দিষ্ট খাবারের স্থান) যেতে হয়। যা অনেক সময়ের ব্যপার।
এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এস. এম. বদিয়ার রহমান বলেন, “গ্যাসের লাইন না আসায় আমরা এখনও ডাইনিং চালু করতে পারছি না । আমরা এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। আশা করছি অতিদ্রুত ডাইনিং চালু করতে পারবো। ক্যান্টিনে খাবারের দাম বেশি নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, হলে এখনো গ্যাস না আসায় লাকড়ি দিয়ে রান্না করতে হচ্ছে ,যা মোটামুটি ব্যয়বহুল। আর এ কারণে অন্যান্য হলের তুলনায় খাবারের দাম একটু বেশি নেয়া হচ্ছে। গ্যাসের লাইন আসলে ডাইনিং চালু করার পাশাপাশি ক্যান্টিনের খাবারের দামও স্বাভাবিক রাখা হবে।”
মন্তব্য চালু নেই