জাপানে পাল্টাচ্ছে প্রেম ও বিয়ের ধরন
পাল্টে যাচ্ছে জাপানিদের প্রেম ও বিয়ের ধরন। যুবক-যুবতীরা ডেটিং বা প্রেম করা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। বিয়ে করছেন কোনো এক বন্ধু বা বান্ধবীকে। এক্ষেত্রে পরিচয় বা রোমান্সের কোনো দীর্ঘায়িত হওয়ার প্রয়োজন নেই। অফিসে কোনো মেয়ে সহকর্মী কাজ করছেন। ব্যাস তাকেই বিয়ে করে বসছেন পুরুষ সহকর্মী।
এমনটা শুধু সাধারণ জাপানিদের ক্ষেত্রেই ঘটছে না, নায়ক- নায়িকারাও এমন পথ বেছে নিচ্ছেন। এসব তথ্য ফুটে উঠেছে সরকারি এক জরিপে। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। দেশটির ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব পপুলেশন অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি রিসার্চ ওই জরিপ পরিচালনা
করে। তাতে দেখা যায় ৬৯ ভাগ পুরুষ ও ৫৯ ভাগ যুবতীর নেই প্রেমের সম্পর্ক। অর্থাৎ তাদের নেই রোমান্টিক পার্টনার। জরিপের ফল বের হওয়ার পর বিবাহবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট রিপোর্টে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে। তাতে বলা হয়েছে, যুবক-যুবতীরা এখন প্রেম বাদ দিয়ে বান্ধবী বা বন্ধুকে বিয়ে করছে।
উল্লেখ্য, বিশ্বে সবচেয়ে কম জন্মহার যেসব দেশে তার অন্যতম জাপান। গত ৫ বছরে সেখানে প্রতি ১০০০ মানুষের বিপরীতে সন্তান জন্ম নিয়েছে মাত্র ৮.৪টি। দেশটিতে বর্তমানে জনসংখ্যা ১২ কোটি ৭০ লাখ। ২০৬০ সালের মধ্যে তা কমিয়ে ৮ কোটি ৭০ লাখ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। মাতোমি নাভার নামের ওয়েবসাইটে যেসব রিপোর্ট পোস্ট করা হচ্ছে তাতে বলা হচ্ছে, কোনো অফিসে একজন নারী সহকর্মী চাকরি করছেন ১০ বছর ধরে। তাকে বিয়ে করেছেন তারই আরেক সহকর্মী।
এ ধারাকে স্থানীয় ভাষায় নাম দেয়া হয়েছে ‘কোউসাই জিরো নিচিকোন’। অর্থাৎ ডেটিং ছাড়াই বিয়ে। মাত্র একমাসের পরিচয়ের পর ২০১৫ সালে অভিনেত্রী কোজি ইয়ামামোতোকে বিয়ে করেছেন জাপানের অভিনেতা মাকি হোরিকিতা। গত মাসে ‘জোসি স্পা!’ ম্যাগাজিনে এ নিয়ে একটি কলাম প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বিয়ে করতে পাত্রী খোঁজার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে আত্মহত্যাকে। এর ফলে জাপানে প্রচলিত পারিবারিক বিয়ের রীতি এখন অনেকটাই ম্লান হতে চলেছে। এমজমিন
মন্তব্য চালু নেই