জাপানের পাঁচ লাখ কিশোর-যুবক ঘর থেকে বের হয় না!
নিঃসঙ্গ জীবনযাপনকে বেছে নিয়েছে তারা। তাও আবার পাঁচ লাখেরও বেশি! এদের সবাই কিশোর ও যুবক। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্য! একলা চলো নীতিতেই তারা নিজেদেরকে মানিয়ে নিয়েছে। জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয় এই প্রবণতাকে ‘হিকিকোমুরি’ বলে সংজ্ঞায়িত করেছে।
এই প্রবণতায় যারা ভুগছে , তারা বাইরে বের না হয়ে বাড়িতে বসে থাকেন। এই পাঁচ লাখেরও বেশি কিশোর ও যুবক ছয় মাস বা তারও বেশি সময় ধরে স্কুল, কাজ বা সামাজিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রয়েছে। নিজেদেরকে ধীরে ধীরে সমাজ থেকে বিছিন্ন করে ফেলেছে। সম্প্রতি জাপান সরকারের এক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
জরিপে দেখা গেছে, ১৫ থেকে ৩৯ বছর বয়সী পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কিশোর ও যুবক বাড়িতে নিজেদের অন্তরীণ করে রেখেছে। তারা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে জীবনযাপন করছে। মন্ত্রিসভার অফিসের ২০১০ সালের জরিপের পরিসংখ্যানের চেয়ে এই সংখ্যা কম। তখন হিকিকোমুরিতে ভুগছিল ছয় লাখ ৯৬ হাজার।
জাপান টাইমস জানিয়েছে, এই সমীক্ষা অনুযায়ী, ৩৫ শতাংশ সাত বছর ধরে নিজেদের বাড়িতে বন্দি করে রেখেছে। ২৯ শতাংশ তিন থেকে পাঁচ বছর ধরে বাড়িতে অবস্থান করছে। এবারের সমীক্ষায় বেশি বয়সী নির্জনতাপ্রিয় ব্যক্তির সংখ্যা বেশি। ৩৫ থেকে ৩৯ বছর, যা ছয় বছরে দ্বিগুণ হয়েছে।
১৯৯০ সালে প্রথমবারের মতো এটি একটি গণ-আচরণ হিসেবে দেখা দেয়। কিন্তু এটিকে এখনো সরকারি তালিকায় রোগ হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়নি এবং এর কোনো প্রস্তাবিত চিকিৎসা নেই।
চিকিৎসকরা বিশ্বাস করেন, মানসিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাবের কারণে তরুণরা সমাজ থেকে নিজেদের সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে।
মন্তব্য চালু নেই