জাপানের কাছে ৩-০ গোলে হারলো বাংলাদেশ
বিজয়ের মাসে লাল সবুজের প্রতিনিধিদের বীরত্বের সাক্ষী হতে গ্যালারিতেও ছিল উপচে পড়া ভিড়। দর্শক গ্যালারির মতো প্রথমার্ধে জেগে উঠেছিল মামুনুলরাও। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের অনুর্ধ্ব-২১ দলকে ৬০ মিনিট পর্যন্ত আটকেও রাখল তারা। তবে ম্যাচ শেষ আধা ঘন্টায় বিবর্ণ হয়ে গিয়েছিল স্বাগতিকরা। যে কারণে দ্বিতীয়ার্ধের এ সময়ে তিনবার মামুনুলদের জালে বল পাঠিয়ে শক্তির পার্থক্যটা ভালই বুঝিয়ে দিল জাপানের অনূর্ধ্ব-২১ দল।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জাপানের যুবাদের কাছে বাংলাদেশ হেরেছে ৩-০ ব্যবধানে। বিরতির সময় হয়তো শিষ্যদের গোপন কোন মন্ত্র শিখিয়ে দিয়েছিলেন জাপানের কোচ তেগুরা মরি মাকোতো। আর তাতেই বাংলাদেশ দলের রক্ষণ দেয়ালের দুর্বলতা বেরিয়ে পড়ে। আর জাপান অনূর্ধ্ব ২১ দলের সদস্যরা তিনবার স্বাগতিকদের জালে বল জড়িয়ে মাঠ ছাড়লো বিজয়ীর বেশে।
শুরুটা ভালই করেছে বাংলাদেশ। প্রথম মিনিটে প্রতিপক্ষের সীমানার কাছে ফ্রি কিক থেকে শট নেন মামুনুল। তার ফ্রি কিকে বাইরে চলে গেলেও পূর্ণ গ্যালারিতে উল্লাস আর উত্তেজনার সুর ভেসে এলো মাঠে। ১২ মিনিটে আবারও ফ্রি কিক পায় স্বাগতিকরা। কিন্তু তাতে কোন সফলতা আসেনি। এভাবে পুরো প্রথমমার্ধেই প্রতিদ্বন্দীতা বজায় ছিল মাঠে। তবে জাপানই গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেছে বেশি।
১৭ মিনিটে ডি-বক্সের ভিতর থেকে মিডফিল্ডার ইয়াজিমা সিয়ার পাসে শট নেন ফরোয়ার্ড আরানতো তাকুমা। কিন্তু সেটা আটকে দিয়ে স্বাগতিকদের রক্ষা করেন গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ। ১৯ মিনিটে আবারও জাপানের আক্রমণ ব্যর্থ করে দেন রাসেল। এ সময় জাপানের ফরোয়ার্ড মিনামিনো তাকোমির শট আটকে দেন তিনি।
৩৭ মিনিটে আবারও আক্রমণ চালায় জাপান। এসময় ফরোয়ার্ড তাকুমির দারুণ এক শট আটকে দেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডার ইয়ামিন। ফলে প্রথমার্ধে সমতা নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির পর আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে জাপানের যুবারা। তার ফলও পায় তারা। ম্যাচের ৬০ মিনিটে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। রিকির পাস থেকে গোল করেন বদলি ফরোয়ার্ড আসানো তাকুমা (১-০)।
৭২ মিনিটে আবারও গোল পায় সফরকারীরা। এমসয় আসানো তাকুমার পাস থেকে গোল করেন মিনামিনো তাকুমি (২-১)। চার মিনিট পর জাপানের পক্ষে শেষবারের মতো স্বাগতিকদের জাল কাঁপান আসানো তাকুমা (৩-০)। বাকি সময় গোল পায়নি কোন দল। ফলে হার নিয়ে মাঠ চাড়ে সোইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা।
মন্তব্য চালু নেই