জাপানিরা বেশিদিন বাঁচার কারণ
সাধারণত জাপানিরাই সবচেয়ে বেশি বাঁচে। কারণ সেখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থা যেমন মৃত্যুর হারকে কমিয়ে এনেছে, তেমনই কয়েকটি জিনিসের কারণে জাপানিরা দীর্ঘায়ু লাভ করে।
তবে জাপানি পুরুষদের চেয়ে নারীরাই বেশিদিন বাঁচে। গড়ে ৮০ বছর বাঁচে পুরুষরা আর নারীরা গড়ে ৮৬ বছর বাঁচে। এমনকি সারাবিশ্বে শতায়ু মানুষের সংখ্যার বিচারে জাপানই সবচেয়ে এগিয়ে।
জাপানিরা বেশিদিন বেঁচে থাকার কারণ নিয়ে অনেক গবেষণা ও সমীক্ষা হয়েছে। তাতে কয়েকটি জিনিস উঠে এসেছে, যা এতো বেশি গড় আয়ুর রহস্য ভেদ করতে সাহায্য করেছে।
স্বাস্থ্য সচেতনতা ও শরীরচর্চা
জাপানিরা খুবই স্বাস্থ্য সচেতন। পৃথিবীর অন্যতম পরিচ্ছন্ন দেশের একটি হল জাপান। এমনকি লাইব্রেরিতে পুরনো বই ঘাঁটলেও জাপানিরা ‘ইউভি’ পদ্ধতি ব্যবহার করে হাত পরিষ্কার করে নেয়।
প্রতিটি জাপানি নিত্যদিন গড়ে একবার হলেও গা ঘামান। ক্যারাতেসহ নানাবিধ মার্শাল আর্টেও দক্ষ তারা। এসব শরীর ও মন ভালো রাখতে দারুণ সাহায্য করে। আর সে কারণেই বেশি সময় তারা হাজ করতে পারে। জাপানিরা দিনের বেশিরভাগ সময়ই কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত থাকে। এমনকি অবসরের পরও নিজেদের ব্যস্ত রাখে তারা।
খাওয়া দাওয়া
ইউরোপ, আমেরিকায় যেমন মানুষ নানা ধরনের মাংসে অভ্যস্ত, তেমনই জাপানিরা মাছ বেশি খায়। আর পরীক্ষায় প্রমাণিত যে, মাছ খেলে শরীরের নানা জটিলতা দূর হওয়ার পাশাপাশি আয়ু বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে তারা প্রচুর পরিমাণে ফল ও শাকসবজি খায়। নানা ধরনের স্যালাড খেয়ে অভ্যস্ত জাপানিরা। এসব খেলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ও ফাইটোকেমিক্যালসের ঘাটতি হয় না, যা অন্য রোগ থেকে বাঁচতে সাহায্য করে।
বেশি না খাওয়া
একেবারে গলা পর্যন্ত খাওয়া কখনওই জাপানিদের পছন্দ নয়। সবসময় পেট একটু খালি রেখে খাওয়া পছন্দ করে জাপানিরা যা বয়সকে ধরে রাখতে সাহায্য করে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আনন্দ
সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে গেলে নিজের জীবনকে উপভোগ করা সবসময়ই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই কাজটাই খুব ভালোভাবে করতে পারে জাপানিরা। যা তাদের দীর্ঘজীবনের অনুঘটক হিসেবে কাজ করে।
চিকিৎসা
জাপানিরা শুধুই অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ নয়, প্রাচীন ভেষজেও ভরসা রেখেছেন। যাতে করে তাদের আয়ু বেড়ে যায়। সেই শরীরে কোনো সমস্যা দেখলেই জাপানিরা দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়। সময় মতো চিকিৎসককে দেখালে বহু রোগই আর বাড়তে পারে না। আর সে কারণেই জাপানিরা দীর্ঘায়ু হয়।
মন্তব্য চালু নেই