জাপানিজদের অদ্ভূত কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য দেখুন, সত্যি আপনাকেও অবাক করে দিবে
জাপানিজ সোসাইটিকে “Sand Society” বলা হয়ে থাকে; এরা সারাজীবন পাশাপাশি বসবাস করে কিন্তু কেউ কারো সাথে একেবারে মিশে যায় না। আর আমরা হচ্ছি “Soil Society” মারামারি কাটাকাটি যা-ই করি, একসাথে মিলে মিশে থাকি।
জাপানিজরা সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট নিজেদের মধ্যে ধারন করে নিজেদেরকে অদ্ভুত এক জাতি হিসেবে ধরে রেখেছে। সে রকম ১০ টি বিষয়ঃ
১. জাপানিজরা প্রচন্ড বিনয়ী, দায়িত্বশীল এবং হেল্পফুল; আপনাকে সাহায্য করার জন্য পারলে যেন জান দিয়ে দেয়! কিন্তু কখনও তারা অন্তর দিয়ে ভালবেসে আপনাকে আপন করে নিবে না। হয়ত একসঙ্গে ২/৫ বছর থাকলেন কিন্তু আপন হতে পারবেন না।
২. অধিকংশ জাপানিজ কোন ধর্ম বিশ্বাস করে না, অথচ ধর্মের মোরাল বিষয়গুলো তারা তাদের প্রত্যহিক জীবনে ধারন করে বা অভ্যাসে পরিনত করে ফেলেছে, যা যেকোন ধর্ম প্রধান দেশের নাগরিকদের থেকে কম নয়।
৩. এরা আপনার পরিবারের সব কথা খুব আগ্রহ নিয়ে শুনবে, আপনাকে তা বলতে উৎসাহ দিবে, কিন্তু নিজেদের ফ্যামিলি সম্পর্কে কোন কথা বলতে চাইবে না। এমন কি বিবাহিত কি না, বাচ্চা কয়জন এ ধরনের সাধারন বিষয়গুলোও না।
৪. আপনি যদি পথে ঘাটে কোন বিপদে পড়েন, পারতপক্ষে আগ বাড়িয়ে আপনাকে সাহায্য করতে যাবে না। অথচ “ওনেগাই শিমাস” বলে সাহায্য চাইলে নিজের কাজ বাদ দিয়ে আপনার উপকার করার জন্য উঠে পড়ে লেগে যাবে।
৫. ফ্রি সেক্স এর দেশ জাপান, এশিয়ায় পর্ণ মুভি বানানোতে এরা অন্যতম, কিন্তু রাস্তা ঘাটে কখনও দুই জাপানিজ কে চুম্মা-চাট্টি করতে দেখা যায় না। এমন কি ক্যাম্পাসে কোন জুটিকে হাত ধরে হাটতে বা বসে গল্প করতেও দেখা যায় না সচরাচর।
৬. অধিকংশ জাপানিজ, বিশেষ করে যারা সার্ভিস রিলেটেড কাজ করে তারা সারাক্ষন মুখে একটা মাপা হাসি ঝুলিয়ে রাখে; যেন কতই না হাসিখুশি, অথচ বিশ্বে আত্মহত্যার রেট জাপানে সর্বাধিক। ওরা আড্ডাপ্রিয় জাতি না, আড্ডার মজা না বুঝেই হয়ত শেষ বয়সে নিঃসঙ্গ থেকে একদিন আত্মহত্যা করে।
৭. বোমা মেরে আমেরিকা জাপানের যে ক্ষতি করেছে তা জাপানের ইতিহাসে আর কেও করেনি। অথচ সেই আমেরিকা এখন জাপানের সবচেয়ে কাছের বন্ধু দেশ। শুধু সরকার নয়, সাধারন জাপানিজরাও কোন ভাবে একটু আমেরিকার ছোয়া পেলে নিজেদের ধন্য মনে করে।
[ জাপানের প্রধানমন্ত্রীরা এত বেশী পদত্যাগ করে কেন সে বিষয়ে একটি মজার জোক্স আছে , ওদের রাজনীতিবিদদের মেইন স্বপ্ন থাকে যে ওরা একদিন দেশের প্রধানমন্ত্রী হবে আর আমেরিকা গিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সাথে হাত মিলাবে। আর এটা যখন একবার সফল হয়ে যায়, তখন নাকি তারা রাষ্ট্র পরিচালনার উৎসাহ হারিয়ে ফেলে … তাই পদত্যাগ করে ]
৮. জাপান ফাস্ট ওয়ার্ল্ড কান্ট্রিগুলোর অন্যতম, কিন্তু ভিতরে ভিতরে আবার প্রচন্ড কনজারভেটিভ। নিজেদের ভাষা, নিজেদের দেশ, নিজেদের ঐতিজ্য কে এরা এমন ভাবে সংরক্ষণ করে যাতে বিদেশীরা তাদের সাথে মিশে যেতে না পারে।
৯. প্রায় শতভাগ শিক্ষিত একটি উন্নত দেশ হলেও জাপানে মহিলাদের অবস্থান খুব একটা সম্মানজনক অবস্থায় নেই। চাকুরীতে উঁচুপদে মহিলাদের সংখ্যা খুব বেশী নয়। তারা ঘরেও নাকি খুব নিগৃহীত; বৌ পেটানোতে জাপানিজ পুরুষদের সুখ্যাতি আছে। অথচ অধিকংশ পরিবারে কর্তার মাসিক বেতন তার বৌ এর একাউন্টে জমা হয় বা গিন্নিই মূলত সংসার হ্যান্ডেল করে।
১০. কথায় কথায় বিনয় সুচক বিশেষণ আর ঘন ঘন মাথা ঝাকুনি দেখে যে কেও ভাববে এরা কত কোমল হৃদয়ের মানুষ কিন্তু ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় এরা নাকি এক সময় নতুন বন্দুক বানিয়ে তা পরীক্ষা করার জন্য চীন-কোরিয়া থেকে মানুষ ধরে এনে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে পরখ করত তা কয়টা মানুষের ফুটা করতে পারে। তারও আগে এক যুদ্ধে সেনাবাহিনীতে পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়েছিল একজন সৈনিক এক তরবারি দিয়ে কয়জন চাইনিজের গলা কাটতে পারে তার উপর ভিত্তি করে। একটা ছবি দেখে ছিলাম, দুই সৈনিক তাদের তরবারি সহ পোজ দিয়ে ছবি তুলছে … একজন সম্ভবত কেটেছে ১৫৫ টা, আরেকজন ১৫৪ টা !
এটা একটা সাধারণ বিশ্লেষণ; প্রতিটা ক্ষেত্রেই হয়ত কিছু ব্যাতিক্রম আছে আমি শুধু আমার বিশ্লেষণ এখানে লিখলাম। [তোমোদাচি এর লেখা থেকে সম্পাদিত]
–এস.এম সাইফুর রহমান এর ফেসবুক থেকে নেওয়া
মন্তব্য চালু নেই