জানেন কি ইন্টারভিউতে নারীদের কেমন অসংগত প্রশ্ন করা হয়

ইকুইটিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস কমিশনের নতুন এক গবেষণায় বলা হয়, অধিকাংশ অফিসে নারীদের অস্বস্তিকর প্রশ্ন করা হয়। ৭০ শতাংশ বস মনে করেন, চাকরি নেওয়ার সময় নারীদের ঘোষণা করা উচিত তারা গর্ভবতী। এর আগের এক গবেষণায় বলা হয়, পুরুষ চাকরিপ্রার্থী অপেক্ষা নারীদের তিন গুণ বেশি অস্বস্তিকর ও অনৈতিক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। ব্রিটেনের নারী প্রার্থীদের ৪০ শতাংশের একই অভিযোগ। ২৮০০ জন ব্রিটিশ কর্মীর ওপর পরিচালিত এই গবেষণায় বলা হয়, পুরুষদের ১২ শতাংশ এই অবস্থার শিকার হয়ে থাকেন। গবেষকদের মতে, নারীদের ব্যক্তিগত জীবনকে টেনে আনা হয় চাকরির ইন্টারভিউয়ে। ধর্ম, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বা চাকরি নিয়ে নয়।, অন্য ধরনের প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন তারা।

হয় প্রশ্নকর্তারা স্রেফ বিনোদনের জন্যে এসব প্রশ্ন করেন, অথবা হেনস্থা করতে এমন করেন। যেমন- সাধারণ একটি প্রশ্ন হতে পারে, আপনি কি বিবাহিতা? কিন্তু বাজে প্রশ্নটি হলো, আপনার কি প্রেমিক আছে? আবার এও জানতে চান, প্রেমিকের পেশা কি? এমনই আরো অসংখ্য অস্বস্তিকর প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন প্রশ্নকর্তারা।

এ তালিকায় ‘আপনার বাবা-মা কি ডিভোর্সড?’ বা ‘আপনার বাবা-মা কি করেন?’ ইত্যাদি প্রশ্নও রয়েছে। এ প্রতিবেদনের লেখিকা একই সমস্যার সম্মুখীন বহুবার হয়েছেন। একবার তিনি দেশের বাইরে চাকরি করতে গেলে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, আপনার কি এখানে নতুন কোনো প্রেমিক হয়েছে? এমনকি লেখাপড়া করতে গেলেও অনেক সময় মৌখিক পরীক্ষায় বাজে প্রশ্ন করা হয়। একটি বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কোর্স করতে পরীক্ষা দেন তিনি। মৌখিক পরীক্ষায় তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, নতুন এই কোর্স করতে এসেছেন। এ বিষয়ে আপনার স্বামীর মতামত কি? এভাবে নানা সময় বিভিন্ন ইন্টারভিউয়ে প্রতিবেদনকারীর অনেক বাজে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, আপনি কি বাবা, মা অথবা প্রেমিকের মুখাপেক্ষী? তাদের সঙ্গে আপনর ভবিষ্যত কি বলেও জিজ্ঞাসা করা হয়। লেখিকা লিখেছেন, একবার আমার কাছে জানতে চাওয়া হলো, আপনার কি সন্তান নেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে?

একবার একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, এ কাজে আপনার বাড়তি সময়ও দিতে হতে পারে। আপনি সন্তান আর চাকরি কিভাবে সামলাবেন? এমন প্রশ্নের জবাবটা সবারই জানা। নীতিমালার মাধ্যমেও এদের সমাধান দেওয়া আছে। তবুও এসব প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয় কেবল নারীদের। প্রতি ক্ষেত্রে এমন সব প্রশ্ন করা হয়, যার মাধ্যমে নারীদের হেয় করা হয়। তাদের বোঝানো হয়, আপনার পক্ষে এটা করা সম্ভব বলে মনে হয় না



মন্তব্য চালু নেই