জাতীয় পার্টি শান্তির প্রতীক
জাতীয় পার্টিকে শান্তির প্রতীক দাবি করে দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেছেন, ‘আমরা শান্তি দিতে পারি। জ্বালাও-পোড়াও-বোমাবাজির জন্য আমরা রাজনীতি করি না। আমরা শান্তির জন্য রাজনীতি করি।’
শুক্রবার গুলশানের একটি কনভেনশন সেন্টারে নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন এরশাদ।
দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের ইঙ্গিত করে এরশাদ বলেন, ‘একজন ঘরে বসে জ্বালাও-পোড়াও করছে, আরেকজন ক্ষমতায় থেকে খুন, গুম-হত্যা চালাচ্ছে। আজ যাদের গুম করা হচ্ছে এসব লাশের খবর থাকে না। কেউ স্বামীহারা হচ্ছেন, কেউ হচ্ছে পিতাহারা, আবার কেউ হচ্ছেন সন্তানহারা। এগুলো থেকে পরিত্রাণের জন্য জাতীয় পার্টি দরকার।’
জনগণ চাইলে জাতীয় পার্টি মাঠে নামবে- এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রীর এই বিশেষ দূত বলেন, ‘আমি প্রত্যেক জেলায় জাপার সম্মেলনে যাবো। যেসব জেলা নিষ্ক্রিয় সেসব জেলা সক্রিয় করবো। সফরকালীন সময়ে যদি হরতালও থাকে তবু এসব জেলা সফর করবো।’
দেশের প্রধান দুটি দলের একটিকে ভারতপন্থি ও অন্যটিকে পাকিস্তানপন্থি আখ্যায়িত করে এরশাদ একমাত্র তার নিজের দলকে বাংলাদেশপন্থি বলে দাবি করেন। নিজের দলকে শান্তিপন্থি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এরশাদ বলেন, ‘দুই দলের শাসনব্যবস্থা থেকে ফিরে আসতে হবে। আর এজন্য জাতীয় পার্টির কেনো বিকল্প নেই।’
আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এরশাদ বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী আছে। তোমরা তাদের পক্ষে কাজ করবে, প্রার্থী যাতে জিততে পারে। নির্বাচনে জয় পরাজয় আছে, এসব জেনেই তোমরা কাজ করবা।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, ঢাকা মহানগর উত্তর জাপার সভাপতি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সাল চিশতি, সাধারণ সম্পাদক উত্তরের মেয়র প্রার্থী বাহাউদ্দিন আহম্মেদ বাবুল, সংসদ সদস্য অ্যাভোকেট সালমা ইসলাম, সংসদ সদস্য শওকত চৌধুরী, যুবসংহতির সভাপতি অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, যুব সংহতির সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন আশরাফ ও দপ্তর সম্পাদক শামসুল ইসলাম রঞ্জন।
মন্তব্য চালু নেই