জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পেলেন যারা
চলচ্চিত্র শিল্পে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৪’ ঘোষণা করেছে সরকার। এবার আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন সৈয়দ হাসান ইমাম ও রানী সরকার। এর আগেও শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার পেয়েছেন হাসান ইমাম। মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ অবদানের জন্য সিকোয়েন্স পুরস্কার লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদকসহ বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন। কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে হাসান ইমাম জুরির দায়িত্ব পালন করেন।
অন্যদিকে বাংলা চলচ্চিত্রে রানী সরকার ১৯৫৮ সাল থেকে অভিনয় করেছেন। ১৯৬২ সালে ‘চাঁন্দা’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু হয়। এখন পর্যন্ত তিনি প্রায় ২৫০টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত সিনেমার মধ্যে ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘তালাস’, ‘বন্ধন’, ‘চন্দ্রনাথ’, ‘দেবদাস’ ‘থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নাম্বার’ উল্লেখযোগ্য। তার অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি হচ্ছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’।
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র-মুরাদ পারভেজ (প্রযোজক), বৃহন্নলা, শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র-মো. আশরাফুল আলম ওরফে আশরাফ শিশির (প্রযোজক), গাড়িওয়ালা; শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক- জাহিদুর রহিম অঞ্জন, মেঘমল্লার; শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে-ফেরদৌস আহমেদ, এক কাপ চা; শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্রে (যৌথভাবে)- ১. মৌসুমী (তাঁরকাটা), ২. বিদ্যা সিনহা মিম (জোনাকির আলো); শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রে ডা: এজাজ ইসলাম, তাঁরকাটা; শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্রে- চিত্র লেখা গুহ, ৭১ এর মা জননী; শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী খল চরিত্রে- তারেক আনাম, দেশা দ্যা লিডার; শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী কৌতুক চরিত্রে- মিশা সওদাগর, অল্প অল্প প্রেমের গল্প; শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী- আবির হোসেন অংকন, বৈষম্য; শিশু শিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার-মারজান হোসাইন জারা, মেঘমল্লার; শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক- ড. সাইম রানা, নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ; শ্রেষ্ঠ গায়ক- মাহফুজ আনাম জেমস, দেশা দ্যা লিডার (পতাকাটা খামচাতে কখনো আসে যদি)।
এছাড়া শ্রেষ্ঠ গায়িকা (যৌথভাবে)- রুনা লায়না, প্রিয়া তুমি সুখী হও (ও কালা অসময়ে বাজাও বাঁশি), মমতাজ- নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ (নিশিপক্ষী ও নিশিপক্ষীরে তোর); শ্রেষ্ঠ গীতিকার- মাসুদ পথিক, নেকাব্বরের মহাপ্রয়ান (নিশিপক্ষী ও নিশিক্ষীরে তোর); শ্রেষ্ঠ সুরকার-বেলাল খান, নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ (নিশিক্ষীরে ও নিশিপক্ষীরে তোর); শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার- মুরাদ পারভেজ, বৃহন্নলা; শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার-সৈকত নাসির, দেশা দ্যা লিডার; শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা- মুরাদ পারভেজ, বৃহন্নলা; শ্রেষ্ঠ সম্পাদক-তৌহিদ হোসেন চৌধুরী, দেশা দ্যা লিডার; শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক- মারুফ সামুরাই, তাঁরকাটা; শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক-মোহাম্মদ হোসেন জেমী, বৈষম্য; শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক- রতন পাল, মেঘমল্লার; শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজ-সজ্জা-কনক চাঁপা চাকমা, জোনাকির আলো; শ্রেষ্ঠ মেক-আপম্যান- আবদুর রহমান, নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ।
মন্তব্য চালু নেই