জাতীয় কবির প্রয়াণ দিবসে জাককানইবিতে বিভিন্ন কর্মসূচী

মোঃ ওয়াহিদুল ইসলামঃ মানবতা, প্রেম, দ্রোহ, চেতনার কবি কাজী নজরুল ইসলাম। নিজের ক্ষুরধার লেখনীর আঁচড়ে স্থান করে নিয়েছেন বিশ্বসাহিত্যে। গদ্য, পদ্য, উপন্যাস, সঙ্গীত- সব শাখায় তার আগমন ছিল ধূমকেতুর মতো। আজ ১২ ভাদ্র জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী।

১৩৮৩ বঙ্গাব্দের ১২ ভাদ্র তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। শনিবার সকালে কবির নামে প্রতিষ্ঠিত ত্রিশালে নামাপাড়ায় কবির বাল্য স্মৃতি বিজরিত বটতলায় অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) কবির ৪০তম প্রয়ান দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রথমে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে গাহি সাম্যের গান মঞ্চে কবির জীবন ও কর্মের উপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বর্তমানে দেশে যারা জঙ্গি হামলার সাথে জড়িত তাদের বোঝানো হয়েছে ইহকাল কিছুই না, পরকালই সব। ফলে তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরকালে যেতে চায়। কিন্তু কবি নজরুল সবসময় ইহকালকে গুরুত্ব দিয়েছেন’।

এছাড়াও আলোচনা সভায় সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ট্রেজারার এএমএম শামসুর রহমান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুস্তাকীম বিল্লাহ। মুখ্য আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: মাহবুব, প্রফেসর ড. মো: নজরুল ইসলাম এবং প্রফেসর ড. বিজয় ভূষণ দাস। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ফোকলোর বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ।

আলোচনা সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ বৃত্তি প্রদান করা হয়। ২০০৯-২০১০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) নিয়মিত শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারকারী ৮ জন শিক্ষার্থীকে এই বৃত্তি প্রদান করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই