জাকাত আদায়ের ফজিলত
জাকাত আদায়ের মাধ্যমে শুধু মালের পবিত্রতা অর্জনই নয়। জাকাত প্রদানের ফলে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের বিবিধ উপকার হয়। আর জাকাত আদায়ের মাধ্যমেই আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পরকালে মুক্তি দিয়ে থাকেন। যে সুখবর দিয়েছেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
হজরত আবু আইয়ুব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত- এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বললেন, ‘আপনি আমাকে এমন একটি কাজ সম্পর্কে অবহিত করুন যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে। তিনি বলেন, তার কী হয়েছে? তার কী হয়েছে? রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বললেন, তার বিষয়টি অত্যন্ত সুস্পষ্ট। তুমি আল্লাহর ইবাদত করবে, জাকাত দেবে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক অক্ষুন্ন রাখবে। (বুখারি)
উল্লেখিত হাদিস থেকে বুঝা যায় যে, জাকাত আদায়ের মাধ্যমেও আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জাহান্নাম থেকে নাজাত দিয়ে জান্নাত দান করবেন। এখন রমজান মাস চলছে। যারা এই রমজানে জাকাত আদায় করবে, তারা অন্য মাসের চেয়ে দশ থেকে সাতশ’ গুণ বেশি সাওয়াবের অধিকারী হবে।
পরিশেষে…
পবিত্র রমজান মাসে জাকাত আদায় করে আল্লাহ তাআলার রহমত বরকত মাগফিরাত এবং জাহান্নামের আগুন থেকে নাজাত লাভ করি। আল্লাহ তাআলা মুসলিম সমাজের প্রত্যেক জাকাত প্রদানকারী এমনভাবে জাকাত আদায় করার তাওফিক দান করুন, যাতে জাকাত আদায়ের মাধ্যমে গরিব-দুঃখীমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং সকল গরিব-দুঃখীর মুখে হাসি ফুটে ওঠে। আল্লাহ আমাদের তাওফকি দান করুন। আমিন।
মন্তব্য চালু নেই