জাককানইবিতে ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে গাড়িতে দ্বিগুন ভাড়া আদায়

মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম : জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে পরিবহন এবং ক্যাম্পাসের আশপাশের দোকানগুলোতে জিনিসপত্রের দাম রাখা হচ্ছে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দুইগুন বেশি।

ক্যাম্পাসের নতুন রাস্তা চিকনার মোড় থেকে ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ইজিবাইক, অটো এবং ভ্যানের ভাড়া ১৫ টাকা। কিন্তু সে ভাড়া এখন রাখা হচ্ছে ২০-২৫ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন রাস্তা (১) নম্বর গেট থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত পদ্মা গেইটলক বাসে শিক্ষার্থীদের বাসের ভাড়া ১৫ এবং অভিবাবকের ভাড়া ৩০ টাকা হলেও বর্তমানে তা হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা।

এ ছাড়া ক্যাম্পাস ও আশপাশের দোকান এবং খাবার হোটেলগুলোতে জিনিসপত্র ও খাবারের দাম রাখা হচ্ছে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দুইগুন বেশি।

জামালপুর থেকে আসা ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী পুষ্প মুনিয়া বলেন, আমি (পদ্মা গেইটলক) বাসে করে ময়মনসিংহ ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে আমার কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছে ৫০ টাকা। আবার শহরে ফেরার সময় নেওয়া হয়েছে ৬০ টাকা।

কুমিল্লা থেকে আসা ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী আউলাদ হোসেন বলেন, ত্রিশাল বাজার গো-হাটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে ভ্যান ভাড়া জনপ্রতি ১৫ টাকা হলেও রাখা হচ্ছে ২০-২৫ টাকা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের নতুন রাস্তার (১) নম্বর গেট থেকে ময়মনসিংহগামী (পদ্মা গেইটলক) বাসের ভাড়া ডেকে ডেকে নেওয়া হচ্ছে ৫০ টাকা করে। যাত্রীরা যেখানেই নামেন না কেন, একই ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের বাসগুলো চিকনার মোড় পর্যন্ত প্রবেশের অনুমতি থাকলেও হরহামেশাই পদ্মা গেইটলক, জননী, সাথী বাসগুলো ঢুকে যাচ্ছে ক্যাম্পাসের (১) নাম্বার গেইট পর্যন্ত যার ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পড়ছে যানজটে প্রতিনিয়ত স্বীকার হচ্ছে ভোগান্তিতে।

এদিকে খাবারের দোকানগুলোতে আলাদা চিত্র ফুটে উঠে ৩০ টাকার মুরগী রাখা হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। ৮ টাকার ভাত রাখা হচ্ছে দশ টাকা, ৩০ টাকার খিচুড়ী রাখা হচ্ছে ৪০ টাকা। ১৫ টাকার পানির বোতল ২০ টাকা। ৪০ টাকার বিরিয়ানির দাম রাখা হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। এভাবে প্রতিটি খাবারের দাম বেশি রাখা হচ্ছে।

ভাড়া বেশি নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে (পদ্মা গেইটলক) বাসের চালকের সহকারী দুলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ৩০ টাকা ভাড়া নিচ্ছি, অন্য গাড়িগুলো আরো বেশি টাকা নিচ্ছে। ভর্তি পরীক্ষার সময় বাসের চেয়ে যাত্রী বেশি থাকায় ভাড়া বেশি আদায় করা হয়’।

বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন হোটেল দোকানদার ও দুইজন ভ্যানচালক বলেন, ভর্তি পরীক্ষার সময় তাঁরা এ রকম দাম নিয়ে থাকেন কারণ এটাই নাকি ব্যবসার সঠিক সময়।

এ ব্যাপারে ত্রিশাল উপজেলা মটর মালিক সমিতির সভাপতির সাথে ফোনে কথা বলার চেষ্ঠা করলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জাহিদুল কবীরের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা সেবার জায়গা থেকে সরে গিয়ে ব্যাবসায়িক ফায়দা লুটে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং অভিবাবকদের বিপাকে ফেলছে তাঁদের এসব কাজ একেবারেই উচিত নয়।



মন্তব্য চালু নেই