জরুরি বিভাগেই মৃত পাওয়া যায় পিন্টুকে

বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

রমেক হাসপাতালের পুলিশ কেস খাতায় ২৬৮/১৫ নম্বর সিরিয়ালে তার মৃত্যু এন্ট্রি করা হয়। সেখানে ব্রট ডেথ (জরুরি বিভাগে মৃত হিসেবে পাওয়া) হিসেবে পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় নাসির উদ্দিন পিন্টুর সুরতহাল শুরু করা হয়। রাজশাহী জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিমুল আকতার সুরতহাল করেন। এরপরে ময়নাতদন্ত শেষে পিন্টুর লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

পিন্টুর মৃত্যুর খবর পরিবারের কাছে দেয়া হয়েছে। হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হবে। এরপর আইনী প্রক্রিয়া শেষে পরিবারে কাছে পাঠানো হবে।

গত ২০ এপ্রিল তাকে নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয়। এর আগেও গত সপ্তাহে হার্টের সমস্যায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো।

প্রসঙ্গত, সাবেক সাংসদ নাসিরউদ্দিন পিন্টু পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বহুল আলোচিত পিলখানা হত্যা মামলার রায়ে পিন্টুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া একই ঘটনায় অবৈধভাবে অস্ত্র লুণ্ঠনের দায়ে তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পিন্টু গত শতকের শেষভাগে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে লালবাগ থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি।

২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদরদপ্তরে বিদ্রোহের সেই ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ অন্তত ৭৪ জন নিহত হন। হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র এবং আসামিদের পালাতে সহযোগিতার অভিযোগ ছিল পিন্টুর বিরুদ্ধে।

পিলখানা হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে নাম আসার পর ওই বছর জুন মাসে হাইকোর্টের বাইরে থেকে এই সাবেক সাংসদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তার আর বের হওয়া হয়নি।

গত ২০ এপ্রিল তাকে নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই