জবির নিজস্ব পরিবহন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন আজিমপুরের শতশত শিক্ষার্থী

জবি প্রতিনিধি : আজিমপুরে বসবাসরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের(জবি) পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সম্প্রতি ঢাকা কলেজের সামনে জবির একটি বাস ভাংচুরের ঘটনায় কোন ঘোষণা ছাড়াই গাড়িটির রুট পরিবর্তন করা হয়। এতে আজিমপুরের শতশত শিক্ষার্থী বাসে যাতায়াতের সুযোগ বঞ্চিত হচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পরিবহন পুলের কাছে বারবার অভিযোগ করেও কোন সুরাহা হচ্ছেনা।
জানা গেছে, জবির প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী আজিমপুরে বিভিন্ন মেচে ভাড়া থাকেন। তাদের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহনের দুটি দ্বিতল বাস চন্দ্রমুখি ও বংশি। কিন্তু গত ২৩মার্চ ঢাকা কলেজের সামনে বংশি বাসটি ভাংচুর করে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে কমপক্ষে দশজন শিক্ষার্থী আহত হন। আহতদের একজন রসায়ন বিভাগের অষ্টম ব্যাচের শিক্ষার্থী জহির রায়হান জানান, জবির দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী শফিউল ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী। তার সাথে জবির এক শিক্ষার্থীর বিবাদের জের ধরে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিয়ে বংশি বাস ভাংচুর করে। এতে বংশি বাসটির রুট পরিবর্তন করে শাহাবাগ দিয়ে যাতায়ত শুরু করে। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বারবার পরিবহন পূলে অভিযোগ জানালেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার আজিমপুরের বসবাসরত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী জবি প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে শফিউলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া ও বংশি বাসটি আগের রুটে চলাচলের অনুমতি চাওয়া হয়। এসময় প্রক্টর বলেন, আগে শফিউলের স্টেটমেন্ট নেয়া হবে তারপর ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিবহন পুলের কর্মকর্তা আজিজ উদ্দিন জানান, বাসের রুট পরিবর্তন করার ব্যাপারে তিনি জানেননা। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ দেয়ার পর তাদেরকে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করতে বলা হয়েছে।
এদিকে বাসের রুট পরিবর্তন করায় চরম বিপাকে পড়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। আরাফাত, শিলা, সুমাইয়া, রতন, রুম্মান, সাইদুর রহমানসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দেয়ার পর সাংবাদিকদের জানান, আজিমপুর থেকে সরাসরি সদরঘাটগামী কোন বাস নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহনই তাদের একমাত্র ভরসা। বাসটি নির্ধারিত রুটে চলাচল না করায় নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষায় অংশ নিতে তাদের সমস্যা হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই