জবিতে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের ধর্মঘটে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ৪

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের ধর্মঘট কর্মসূচীতে হামলা চালিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৪ জন আহত হয়েছেন। এদিকে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের কর্মীদের ‘দুষ্কৃতিকারী’ আখ্যা দিয়ে এ কর্মসূচীকে অয়ৌক্তিক বলেছেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত রবিবার ছাত্র ইউনিয়নের কর্মসূচীতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে সকাল ৮ টায় সারাদেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো ধর্মঘট পালন করতে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের কর্মীরা জবির মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাস মূল ফটকের সামনে আসলে শাখা ছা্ত্রলীগের সভাপতি শরীফুল ইসলামের অনুসারী নূর রাহুলের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন ছাত্রলীগ কর্মী ছাত্রজোটের কর্মীদের উপর হামলা চালায়।

এতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের দপ্তর সম্পাদক প্রসেঞ্জিত, প্রচার সম্পাদক কৃঞ্চ ও সৌমিতসহ কমপক্ষে চারজন আহত হন।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মাসুদ রানা জানান, এসময় ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদালয়ের সহকারী প্রক্টর জাফর ইকবালও উপস্থিত ছিলেন। মুঠোফেনে যোগাযোগ করা হলে জাফর ইকবাল মিটিংয়ে ব্যস্ত আছেন বলে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম বলেন, কিছু দুষ্কৃতিকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে তালা মেরেছিল। অযৌক্তিক কর্মসূচীর মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার মান নষ্ট করতে চেয়েছিল তারা। তাই শিক্ষক-কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাদের সরিয়ে তালা ভেঙ্গেছে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর নূর মোহাম্মদ ক্লাসে আছেন বলে ফোন কেটে দেন।

গত ২৬ এপ্রিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক লুবনা জেবিনকে চড় মেরেছিলেন ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আরজ মিয়া। এ ঘটনার প্রতিবাদে ঐদিনই শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ করলে সেখানে শরীফুল ইসলামের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছিল। ওই সময় ছাত্র ইউনিয়ের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সজীব এক সংবাদ বিবৃতির মাধ্যমে দাবি করেছিলেন, ‘ছাত্রলীগের সাংগঠনিক অবস্থান যৌন নিপীড়নের পক্ষে’।



মন্তব্য চালু নেই