জন দূর্ভোগের অপর নাম ভোলার শশীভূষণ বাজার
ভোলা জেলার শশীভূষণ থানা সদরের শশীভূষণ বাজারটি দীর্ঘ দিন যাবৎ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও জলাবদ্ধতা সহ নানান সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়ায় মারাক্তত দূর্ভোগের শিকার ক্রেতা বিক্রেতা সহ জনসাধারন। এ বাজারটি থেকে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় হলেও বাজরটি উন্নয়নের জন্য ভুমিকা নেই সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষের।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শশীভূষণ বাজারটি সামান্য বৃষ্টি হলেই ড্রেনের পানি রোডের উপর উঠে গিয়ে জনসাধারনের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। দুই পাশে দুটি ড্রেনের ব্যবস্থা থাকলেও কতৃপক্ষের অবহেলায় দীর্ঘদিন যাবৎ পরিস্কার না করায় ময়লা আর্বজনা ভর্তি পানিনিস্কাসন বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে বাজারের বিভিন্ন স্থানে ড্রেনের ময়লা আবর্জনা ও কাঁদায় একাকার হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
ফলে মারাক্তক দূর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয় খুরচা ক্রেতা বিক্রেতা সহ বাজার আসা সাধারন মানুষ। এতে বাজার ব্যবসায়ীদের মাধ্যেও ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ প্রতি বছর এ বাজারটি থেকে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় করলেও বাজারটি দীর্ঘদিন যাবৎ রয়েছে উন্নয়ন বঞ্চিত।
এদিকে বাজারে সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ড্রেনের উপরে কোন স্লাব না থাকায় প্রায় সময় সাধারন পথচারীদেরাও ক্রেতারা দূঘটনার শিকার হচ্ছেন। ক্রেতা বিক্রেতা সহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে মারাক্তক অসুবিধা হচ্ছে। দিন দিন বাজারটি নানান সমস্যায় জড়িয়ে পড়লেও কতৃপক্ষ রয়েছে নিরব দর্শক। মনে হয় এসকল সমস্যা দেখার যেন কেউ নেই।
এ বাজারটিতে প্রায় ১ হাজার থেকে ১২ শ ব্যবসায়ী থাকা সত্তেও রয়েছে মাত্র দুটি নলকূপ। একটি নলকূপ অকেজো হয়ে পড়ে আছে। ফলে অনেক সময় বিশুদ্ধ পানির দেখা দেয় তীব্র সংকট । কখনো কখনো বিশদ্ধ পানির অভাবে হোটেল রেস্টুরেন্ট সহ ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে পান করতে ময়লা পানি। দ্রুত বাজাটি পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য দাবী জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের।
এছাড়া এখানে নেই কোন সরকারী টয়লেট, জনসাধারনের জরুরী প্রয়োজনে এখানে সেখানে ত্যাগ করে মল।শশীভূষণ বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারন সম্পাদক আবু জাহের মিয়া জানান, বাজারের বিভিন্ন বিষয়ে আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেছি।
মন্তব্য চালু নেই