‘জন্মদিনের আনন্দ ছিল ছোটবেলায়’

ছোট পর্দা ও রুপালি পর্দা— দুই মাধ্যমেই সমান জনপ্রিয় চঞ্চল চৌধুরী। সোমবার (১ জুন) এই গুণী অভিনেতার জন্মদিন। চঞ্চল চৌধুরী পাবনা জেলার কোমরহাট গ্রামে ১৯৭৫ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন।

জন্মদিনে শুটিংয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চঞ্চল চৌধুরী। গাজীপুরের পুবাইলে সঞ্জিত সরকারের রচনা ও পরিচালনায় ‘মামা বাড়ির আবদার’ নামের একটি ধারাবাহিক নাটকের শুটিং করছেন তিনি।

জন্মদিনের আয়োজন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আয়োজনের আনন্দ ছিল ছোটবেলায়। সেটার অনুভূতি ছিল অন্যরকম। এখন বয়স বেড়েছে। জন্মদিনের আয়োজন নিয়ে ভাবা হয় না। নাটকের শুটিং করছি পুবাইলে। সারাদিন শুটিংই করব।’

বরাবরই অভিনয়ে সিরিয়াস চঞ্চল। একের পর এক দর্শকনন্দিত নাটক-চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন তিনি। অভিনয় জীবনের শুরু থেকে আছেন মামুনুর রশীদের আরণ্যক নাট্যদলে। মামুনুর রশীদের লেখা ‘সুন্দরী’ নাটকে ছোট একটি চরিত্রে প্রথম অভিনয় করেন চঞ্চল। এর পর সংক্রান্তি, ময়ুর সিংহাসন, চে-এর সাইকেল, রাঢ়াং নাটকে অভিনয় করে মঞ্চ কাঁপিয়েছেন। এখনো নিয়মিত মঞ্চে দেখা যায় তাকে।

২০০৪ সাল থেকে ছোট পর্দায় নিয়মিত অভিনয় করছেন চঞ্চল। ‘সূর্যের হাসি’, ‘তালপাতার সিপাহী’, ‘নিখোঁজ সংবাদ’, ‘মা’, ‘ভবের হাট’, ‘সার্ভিস হোল্ডার’, ‘হাড় কিপটা’সহ অনেক জনপ্রিয় ও প্রশংসিত নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।

২০০৯ সালে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের পরিচালনায় ‘মনপুরা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান চঞ্চল। এরপর মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘টেলিভিশন’, গৌতম ঘোষের ‘মনের মানুষ’ চলচ্চিত্রে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়। সম্প্রতি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন অমিতাভ রেজার ‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্রে। ৭ জুন চলচ্চিত্রটির শুটিং শুরু হবে।

চঞ্চল চৌধুরী ১৯৯০ সালে উদয়পুর হাই স্কুল থেকে এসএসসি ও ১৯৯২ সালে রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এর পর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে। পড়ালেখা শেষে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভে (ইউডা) শিক্ষকতা করেন।



মন্তব্য চালু নেই