‘জঙ্গী প্রমাণ করে খালেদার বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘দেশে কোনো জঙ্গী নাই, একটা ছাড়া। বেগম খালেদা জিয়া এখন জঙ্গীদের নেত্রী হয়েছে, তিনি এখন নিজেই জঙ্গী। একটাই কাজ এখন আমাদের সামনে আছে, ওই জঙ্গীকে এখন প্রমাণ করাতে হবে, ওর বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে।’
রাজধানীর বংশালের সুরিটোলা হাই স্কুল মাঠে বৃহস্পতিবার বিকেলে গণতন্ত্রী পার্টির উদ্যোগে ঢাকা মহানগর ১৪ দল আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মোহাম্মদ নাসিম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনি মনে রাখবেন, নির্বাচনে আমরা ভয় পাই না। নির্বাচন আমরা করেছি, বার বার নির্বাচন করেছি। আপনি নির্বাচনে আসলেন না কেন? শেখ হাসিনা আপনাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিতে চেয়েছিলেন। শেখ হাসিনা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মার্শাল ল ঠেকিয়েছেন। নির্বাচন করে গণতন্ত্র রক্ষা করেছেন। গণতন্ত্র আছে বলেই বেগম জিয়া হরতাল-অবরোধ ডাকতে পারছেন। নির্বাচন না হলে এখন মার্শাল ল থাকত।’
খালেদা জিয়ার উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘২০১৯ সালের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হন। খেলা হবে দেখব, সে খেলায় কে হারে, কে জেতে। সাহস থাকলে পেট্রোলবোমা ছেড়ে সেই নির্বাচনে আসেন। সেই খেলা হবে ফাইনাল খেলা। ওই খেলায় শেখ হাসিনাই জিতবে, জনগণ ভোট দেবে। আপনার মতো বোমাবাজকে ভোট দেবে না।’
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘কোথাও হরতাল হচ্ছে না। বেগম জিয়া আপনি তামাশা করছেন। নিজেই বন্দী হয়ে আছেন। মানুষকে হত্যা করছেন। এটা কোনো আন্দোলন? আমরাও আন্দোলন করেছি। নিজেরা মার খেয়েছি। কিন্তু পুলিশ-বিজিবিকে মারি নাই, হত্যা করি নাই।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া আপনি কি চান? নির্বাচন চেয়েছেন, অবশ্যই নির্বাচন হবে। ২০১৯ সালে নির্বাচন হবে, এর আগে নির্বাচন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নাই। আপনি সংলাপ চেয়েছেন, অবশ্যই সংলাপ হবে। ২০১৯ সালে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপ হবে। কোনো খুনি-বোমাবাজের সঙ্গে সংলাপ হবে না।’
গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মাহমুদুর রহমান বাবুর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, ন্যাপের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদ-উল ইসলাম খান, জাতীয় পার্টি জেপির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহিম প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই