জঙ্গি আবিরের মরদেহ কিশোরগঞ্জে দাফন
কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী জঙ্গি আবির রহমানের (২৩) মরদেহ নিতে রাজি হয়নি তার পরিবার। এ অবস্থায় ঘটনার চারদিন পর তার মরদেহ কিশোরগঞ্জে দাফন করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জ পৌর গোরস্থানে সোমবার সন্ধ্যায় তার মরদেহ দাফন করা হয়।
মরদেহ বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছিল। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে একটি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে আবিরের মরদেহ কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে আনা হয়। সেখান থেকে কাফনের কাপড় পরিয়ে তার মরদেহ কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জানাজা পড়ান পৌর গোরস্থানের কেয়ারটেকার মো. মাহতাব উদ্দিন। তবে জানাজায় অন্য কোনো লোক অংশ নেয়নি। এরপর কিশোরগঞ্জ পৌর গোরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
আবীর হোসেন কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ত্রিবিদ্যা গ্রামের ব্যবসায়ী মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে। বাবা-মায়ের সঙ্গে তিনি ঢাকার ভাটারা থানার বসুন্ধরা এলাকায় বসবাস করতেন। গত ১ মার্চ তিনি বাসা থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন। এ ব্যাপারে তার বাবা গত ১ জুলাই ভাটারা থানায় একটি জিডি করেন (জিডি নং-২৯৪, তারিখ. ০১-০৩-২০১৬)।
কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, ‘আবিরের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা আবিরের মরদেহ নিতে রাজি হয়নি। তাই আইন অনুযায়ী মরদেহ সরকারি ব্যবস্থাপনায় কিশোরগঞ্জে দাফন করা হয়।
প্রসঙ্গত, ঈদুল ফিতরের দিন সকালে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় পুলিশের ওপর হামলার সময় সংঘর্ষে নিহত হন জঙ্গি আবির হোসেন।
মন্তব্য চালু নেই