জগন্নাথের শিক্ষার্থীদের তিন দিনের আল্টিমেটাম
শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট সমাধানে রবিবারের মধ্যে উদ্যোগ নিতে সময় বেঁধে দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে মধ্যে সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সুষ্পষ্ট বক্তব্য না এলে পরদিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে মিছিলের ঘোষণা দিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ধর্মঘট পালন শেষে প্রধান ফটকে সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষাথীদের মুখপাত্র ইমরুল শাহেদ বাঁধন।
অনাবাসিক এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরেই তাদের আবাসন সংকট সমাধানের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। এতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেদখল হল উদ্ধারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসলেও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানিগঞ্জ নেয়ার পর নাজিমউদ্দিন রোডে হল নির্মাণের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে সবকটি সড়ক বন্ধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বাঁধন বলেন, ‘আমাদের ধর্মঘট শতভাগ সফল হয়েছে। ১৯৬৮ সালের পর জগন্নাথ বিশ্বাবিদ্যালয়ে এমন কর্মসূচি পালিত হয়নি।’
সকাল থেকেই ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক বন্ধ করে এর সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। দুই ঘণ্টা পর ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক থেকে বেরিয়ে রায় সাহেব বাজার মোড়ের দিকে এগোতে চাইলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে তারা। পরে শাঁখারী বাজার মোড়ের সামনে বেলা একটা পর্যন্ত বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের ফলে আশেপাশের সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়, দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয় সদরঘাট, পাটুয়াটুলী ও ইসলামপুরগামী যাত্রীদের।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘হল নির্মাণ ছাত্রদের দীর্ঘ দিনের যৌক্তিক দাবি। কিন্তু ঢাকা শহরে হল নির্মাণ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। অনিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করলে তাদের হিতে বিপরীত হতে পারে।’
ঢাকা মহানগর পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার লুৎফুল কবির চন্দন বলেন, ‘আন্দোলনে যেন কোন ধরনের সহিংসতা না হয় সে জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে যথেষ্ট নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সাদা পোশাকেও নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে।’
মন্তব্য চালু নেই