ছয় মাস খেলা নেই, মানতে পারছেন না তামিম

টি –টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে সেই কবে। এরপর আর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মাঠে নামা হয়নি বাংলাদেশের। টাইগাররা আবার যখন খেলতে নামবেন, তখন প্রায় অর্ধ বছর (ছয়/সাত মাস) কেটে যাবে! বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না তামিম ইকবাল। মি. খানের প্রশ্ন, ভালো খেলার পরেও অন্য দলগুলো কেন খেলতে চাচ্ছে না? ক্রিকইনফোর সঙ্গে আলাপকালে তামিম এও বলেছেন, ‘এত বিরতিতে দলের ক্ষতি হতে পারে।’

‘নিশ্চিতভাবে এটা আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হবে। আমাদের সঙ্গে অন্যদের খেলতে আগ্রহী হওয়া উচিত। অথচ আমরা সাইডলাইনে আছি। জানি না, ছয় মাস বাদে আমরা কেমন খেলবো। জিম্বাবুয়ে বাদে অন্য কোনো দল এতদিন বসে থাকে না।’

বাংলাদেশ সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে ২৬ মার্চ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ভারতের বিপক্ষে। অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ রয়েছে। এর আগে অবশ্য ভারতের বিপক্ষে টেস্ট খেলার কথা ছিল। কিন্তু ভারতের অনাগ্রহে সেটা পিছিয়ে সামনের বছর নেয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটা সিরিজ হওয়ার কথা। তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

তামিম বলছেন, ২০১৫ সালের মতো একটি সফল বছর পার করার পর এই অপেক্ষা হতাশার।

বাংলাদেশ ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। এরপর একে একে পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ধরাশায়ী হয়। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও নিশ্চিত হয়।

বাংলাদেশের এমন উন্নতি সত্ত্বেও অন্য দেশগুলো কেন খেলতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না, তা তামিমের বোধগম্য নয়।

‘ছয় মাস বসে থাকার সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা হতে পারে না। যদি পাঁচ বছর আগের মতো আমরা খেলতাম, তাহলে না হয় মেনে নিতাম। কিন্তু এত ভালো খেলার পরও কেন তারা খেলতে চায় না, আমি জানি না।’

ক্রিকেট খেলুড়ে কোনো শীর্ষ দেশ এভাবে বসে থাকলে খেই হারিয়ে ফেলবে বলেও মনে করেন এই ওপেনার, ‘শীর্ষ একটা দলকে বলুন ছয় মাস বসে থাকতে। দেখবেন তারা কেমন খেলে। যেভাবে খেলতে, সেভাবে পারবে না।’



মন্তব্য চালু নেই