ছোট ভাইবোন থাকলে ভালো থাকে স্বাস্থ্য

ছোট ভাইবোন প্রায়ই অনেকের বিরক্তির কারণ হয়। মাঝে মাঝে জ্বালাতনও করে বড়দের। তবে এবার আর বিরক্তির কোনো থাকবে না। শুনলে খুশি হবেন, ছোট ভাইবোন থাকলে ভালো থাকতে পারে আপনার স্বাস্থ্য। এমনটাই বলছে সাম্প্রতিক এক গবেষণা।

যুক্তরাষ্ট্রের ৭০০ শিশুর ওপর দীর্ঘ এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া পর্যন্ত যেসব বাচ্চাদের ছোট কোনো ভাইবোন না থাকে তাদের চেয়ে একই বয়সের যেসব বাচ্চাদের ছোট ভাইবোন থাকে তারা অধিকতর ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারী। ছোট ভাইবোন না থাকা শিশুরা চর্বি জাতীয় সমস্যায় ভোগে বেশি।

শিশুরোগ বিষয়ক গবেষণা জার্নাল ‘পেডিয়াট্রিকস’ এর ওই গবেষণায় দেখা যায়, বাচ্চাদের জন্মের পর তাদের আরো ভাই কিংবা বোন জন্ম নেয়ার সাথে আগে জন্ম নেয়া সহোদর কিংবা সহোদরার সুস্বাস্থ্যের একটা সম্পর্ক আছে।

তবে আগের বাচ্চার মেদ কম হওয়ার সাথে পরে ভাইবোন জন্ম নেয়ার সরাসরি কোনো সম্পর্ক আছে বলে এখানো গবেষকরা দাবি করছেন না। এ বিষয়ে আরো গবেষণা দরকার বলে মনে করেন তারা। যদিও গবেষকরা জোর দিয়েই বলেছেন, এক্ষেত্রে অবশ্যই একটি সম্পর্ক আছে, সেটা সরসরি নাও হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ এবং গবেষণা দলের সদস্য ডা. জুলি লুমেং বলেন, ‘পরিবারের বড় শিশুর সুস্বাস্থ্যের সাথে ছোট শিশু জন্ম নেয়ার অবশ্যই একটি সম্পর্ক আছে। আপনার যদি ছোট কোনো ভাইবোন থাকে তবে আপনার ছোটাছুটি করার সম্ভাব্যতাও বেশি থাকে।’ অর্থাৎ শরীরে মেদ কম থাকবে।

এটা এমনও হতে পারে, ছোট ভাইবোন থাকলে খেলাধুলার একজন স্থায়ী সঙ্গী তৈরি হয়। আর তারা সব সময় দৌড়াদৌড়ি, ছোটাছুটিতে ব্যস্ত থাকে। আবার এটাও হতে পারে যে দ্বিতীয় সন্তান জন্ম নেয়ার পর মা-বাবা আগের মতো তাদের প্রথম সন্তানের যত্ন নিতে পারে না। তাদের খাবার-দাবারের প্রতি খেয়াল রাখতে পারে না। আর এ কারণেও আগের বাচ্চার দেহে হয়তো মেদ জমতে পারে না।

আরেক শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ কেথ আইয়ুব জানান, দ্বিতীয় সন্তান জন্ম নেয়ার পর প্রথম সন্তানের যত্নের ব্যাপারে মা-বাবাদের ধৈর্য কমে যায়। তবে এটা ঠিক নয় বলেও মনে করেন আইয়ুব। দ্বিতীয় সন্তান জন্ম নেয়ার পরও প্রথম সন্তানের প্রতি মা-বাবাদের মনোযোগী থাকা দরকার বলে মনে করেন উভয় শিশুরোগ বিশেষজ্ঞই।



মন্তব্য চালু নেই