ছোট্ট কিছু কাজে তাৎক্ষণিকভাবে বাড়িয়ে নিন দেহের এনার্জি
সকালে ঘুম থেকে উঠার পর দিন বাড়ার সাথে সাথে দেহের এনার্জি ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে। বিশেষ করে সকালে ১১ টার দিকে এবং একটু বেলা বাড়ার পর দুপুর পরপরই এই সমস্যা প্রবল আকার ধারণ করে। দেহের এনার্জি কমে দেহে ভর করতে থাকে ক্লান্তি এবং আলসেমি। ঘুম ঘুম ভাবের কারণে কিছুই করা সম্ভব হয় না যতক্ষণ পর্যন্ত না নতুন করে দেহে এনার্জি পাওয়া যায়। কিন্তু এই সময়গুলোতে তো আর ঘুমিয়ে পড়া সম্ভব হয় না সকলের জন্য যে নতুন করে এনার্জি পাওয়া যাবে। তাহলে কী করা যায় ভাবছেন? জানলে অবাক হবেন, খুবই ছোট্ট কিছু কাজ রয়েছে যা আপনাকে তাৎক্ষণিকভাবে এনার্জি এনে দিতে সক্ষম। আজকে তাহলে দেহে তাৎক্ষণিক এনার্জি আনার দারুণ কৌশলগুলো শিখে নেয়া যাক।
১) হাই তুলুন
মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব হলে হাই আসে তা সকলেই জানেন। আর এই অক্সিজেনের অভাবেই দেহ ক্লান্ত লাগে। তাই হাই তোলার মাধ্যমে মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছে দিন। এছাড়াও প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির রিসার্চ এসোসিয়েট ডঃ অ্যান্ড্রু গ্যালাপ বলেন, ‘হাই তোলা মূলত মস্তিষ্ককে ঠাণ্ডা করে এবং মস্তিষ্ককে সজাগ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে’।
২) হাঁটাচলা করুন
এক জায়গায় বসে থাকলে দেহে আলসেমি অনেক বেশী ভর করে এবং ক্লান্ত বেশী লাগতে থাকে। উঠে খানিকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে নিন। ৫-১০ মিনিট একটু ঘোরাঘুরি করে আসুন, দেখবেন দেহে নতুন করে এনার্জি পাচ্ছেন।
৩) মজার কিছু দেখুন
খুব যদি এনার্জি সংকটে পড়ে যান তাহলে ইউটিউবে হাসির কোনো ভিডিও দেখে নিন। ডঃ রবার্ট প্রোভিন বলেন, হাসি আপনার রক্তচাপ বাড়ায় এবং হার্ট বিট কিছুটা দ্রুততর করে ভালো দিক থেকে যার কারণে আপনি তাৎক্ষণিকভাবে দেহে এনার্জি ফিরে পাবেন।
৪) লাল রঙের কিছু দেখুন
ইউনিভার্সিটি অফ রোচস্টারের একটি গবেষণায় দেখা যায়, উজ্জ্বল লাল রঙ মস্তিষ্ককে সজাগ রাখতে বিশেষভাবে কার্যকরী। তাই নিজের টেবিলে কিছু লাল রঙের ফুল রাখুন বা লাল অন্য কিছু রাখুন যা আপনাকে অনেকটা সময় সজাগ রাখবে।
৫) তোকমা
কফি নয় ভিটামিন বি, ফাইবার ও প্রোটিন সমৃদ্ধ তোকমা রাখুন খাবারে। খুব সহজেই আপনার দেহে এনার্জি ফিরিয়ে আনবে এগুলো। তোকমার শরবত পান করতে পারেন, অথবা দইয়ের সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন।
৬) স্ট্রেচ করুন
হাত পা ছড়িয়ে টানটান করে স্টেচ করে নিন। স্ট্রেচ করা মূলত দেহের নার্ভ সিস্টেমকে স্টিমুলেট করে থাকে, যার ফলে তাৎক্ষণিকভাবে দেহের জড়তা কেটে যায় এবং দেহে এনার্জি পাওয়া যায়।
সূত্র: health.com
মন্তব্য চালু নেই