ছেলে বিদেশ, পুত্রবধূর পরকীয়ায় হার্ট অ্যাটাকে শ্বশুরের মৃত্যু
ছেলের অবর্তমানে পত্রবধূ পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে হাতে নাতে ধরা পড়ে। আর এ পরিস্থিতি দেখে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে শ্বশুর।শুক্রবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে পুত্রবধূ ও তার কথিত প্রেমিককে হাতেনাতে আটক করা হয়।
কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার দক্ষিণ চরটেকী গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে মানিক মিয়া (২৫) সৌদি আরবে চাকরি করেন। স্বামী বিদেশ কর্মরত থাকায় পার্শ্ববর্তী বাড়ির আজিত মিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলের সঙ্গে মানিকের স্ত্রী শরুফা আক্তারের (২২) পরকীয়া সম্পর্কে গড়ে ওঠে।
শুক্রবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে কৌশলে মামুন শরুফার ঘরে ঢোকেন। কেউ একজন ঘরের ভিতরে ঢুকেছে আঁচ করতে পেরে প্রবাসী মানিকের ফুফাতো ভাই আমিনুল ও বাড়ির অন্য লোকজন শরুফাকে ঘরের দরজা খুলতে বলে। দরজা খুলে প্রথম অবস্থায় কোথাও কাউকে না পেয়ে শরুফাকে স্টিলের বাক্স খুলতে বলে। কিন্তু শরুফা তালার চাবি নেই বলে জানিয়ে দেয়। পরে আমিনুল ও অন্যরা স্টিলের বাক্সে আরও একটি তালা লাগিয়ে দেন।
এদিকে, এ খবর শুনে শ্বশুর আজিম উদ্দিন (৬০) ছেলের বৌ শরুফাকে ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পুত্রবধূর এমন আচরণে শ্বশুর আজিম উদ্দিন অসুস্থ হয়ে বাড়ির উঠোনে পড়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই মারা যান আজিম উদ্দিন।
শ্বশুর মুমূর্ষু অবস্থায় থাকলেও পুত্রবধূ শরুফা তার কাছে না গিয়ে স্টলের বাক্স খুলে ঘরের টিনের ফাঁকা করে প্রেমিক মামুনকে বের করে দিতে সাহায্য করেন। বাক্সের তালা ভাঙার শব্দ ও টিনের বেড়া খোলার শব্দ শুনে বাড়ির লোকজন দেখতে পায় মামুন দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। ধাওয়া করে মামুনকে আটক করে তারা।
খবর পেয়ে সকালে পুলিশ গিয়ে কথিত প্রেমিক মামুন ও প্রবাসীর স্ত্রী শরুফাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানায় কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। আটক মামুন ও শরুফা থানা হেফাজতে রয়েছে।বাংলামেইল
মন্তব্য চালু নেই