ছাত্রীর নগ্ন শরীর দেখালেই মিলবে প্রশংসাপত্র

হালকা নীলাভ আলোয় যৌবন না দেখালে পরীক্ষায় পাশ করা হবে না। হাতে মিলবে না তৃতীয় বর্ষ পাশের প্রশংসাপত্র। নম্বর নয়, ক্লাসঘর ভর্তি ছাত্রছাত্রীদের সামনে নগ্নতাই হবে আপনার পাশ করার একমাত্র পথ। নগ্ন ছাত্রীর শরীর তুলির টানে যতক্ষণ না ক্যানভাসে জীবন্ত হয়ে উঠছে মিলবে না নম্বর, হবে না পাশ করা।

দীর্ঘদিন থেকেই এমন ঘটনার স্বীকার ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজুয়াল আর্টের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীরা। দু’বছর পাশ করার পর তৃতীয় বর্ষে পাশ করতে হলে প্রফেসর রিকার্ডো ডমিনগুয়েজের বেঁধে দেওয়া নিয়ম মেনে চলতে হবে। নয়া নিয়মে পরীক্ষার আগে একে একে সব ছাত্রীকেই হতে হবে নগ্ন। আর বাকি ছাত্রেরা তুলিত টানে ফুটিয়ে তুলবেন সেই দৃশ্য। খবর ভারতীয় গণমাধ্যম।

অবাক করা এই নয়া নিয়ম চলে আসছে বছরের পর বছর। কেউ কোনও অভিযোগও জানাননি। হঠাৎ এই খবর প্রকাশ্যে এলো এক ছাত্রীর দৌলতে। লারা নামের তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী গোটা ঘটনা জানালেন তাঁর মা কে। থানায় অভিযোগ দায়ের হল প্রফেসরের নামে। ছাত্রীর মায়ের দাবি, গোটা ঘটনা শুনে আমরা অবাক। তাতেও নিরুত্তাপ রিকার্ডো। তাঁর কথায়, এতে কোনও অন্যায় নেই। শিল্পে নগ্নতা খারাপ নয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকেরা ভালোভাবে নেননি বিষয়টিকে। আইনের সব পথই খোলা রেখেছেন তারা।



মন্তব্য চালু নেই