ছাত্রলীগ নেতার কক্ষে খাবার না দেয়ায় হলের ক্যান্টিন মালিককে মারধর

এর আগেও প্রোগ্রামে না যাওয়ায় হলের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করে খবরের শিরোনাম হয়েছেন তিনি। এবার রুমে খাবার না দেয়ায় ক্যান্টিন মালিকের গায়েও হাত তুলতে দ্বিধা করলেন না। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গাজী হাসিব। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহের হোসেন প্রিন্সের একান্ত অনুসারী বলেও ক্যাম্পাসে পরিচিত তিনি।

আর মারাত্মকভাবে মারধরের শিকার ক্যান্টিন মালিক সাহাবুদ্দীন ঘটনার বিচার চেয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ইতোমধ্যে ক্যান্টিনও বন্ধ করে দিয়েছেন। এর ফলে ভোগান্তিতে পরেছে হলটির কয়েক হাজার সাধারণ শিক্ষার্থী।

শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হলে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ক্যান্টিন থেকে হলের ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতার কক্ষে নিয়মিত খাবার দিতে হত। এর মধ্যে অনেকেই টাকা না দিয়ে ফাও খেতেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবং ক্যান্টিনের মানোন্নয়নে সম্প্রতি হল প্রাধ্যক্ষ ক্যান্টিন থেকে বিভিন্ন কক্ষে খাবার নেয়ার প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। ফলে শুক্রবার দুপুরে হাসিব তার ২১০ নম্বর কক্ষে খাবার দিতে বললেও ক্যান্টিন মালিক তাতে অস্বীকৃতি জানান। পরে দুপুর ২টার দিকে হাসিব ৫-৬ ছাত্রলীগ কর্মী নিয়ে এসে ক্যান্টিনের মালিককে মারধর করে। এসময় ঘটনার বিচার দাবিতে ক্যান্টিন বন্ধ করে দেয়া হয়।

এদিকে রাতে ক্যান্টিন বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় হলের হাজারো সাধারণ শিক্ষার্থীকে।

ক্যান্টিন মালিক সাহাবুদ্দীন জানান, হল প্রাধ্যক্ষের নির্দেশ মান্য করে খাবার না দিলে ছাত্রলীগের ওই নেতাসহ ৫-৬ জন এসে আমাকে মারধর করে। বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসনের কাছে আমি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছি এবং ক্যান্টিন বন্ধ রেখেছি।

এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান বলেন, আমরা ঘটনাটি জেনেছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে শিগগিরই সভা ডাকা হবে। সভা থেকে জড়িতদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ক্যান্টিন খুলে দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা ক্যান্টিন খুলে দেব।



মন্তব্য চালু নেই