ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে শিক্ষক কেন? ক্ষেপলেন ওবায়দুল কাদের
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার রাজধানীর বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের সুলতানা কামাল মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ সমালোচনা করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ছাত্রলীগের মূলমন্ত্র কারো কণ্ঠে উচ্চারিত হয় না। ছাত্ররা বক্তব্য শুরু করে আন্তর্জাতিক রাজনীতি দিয়ে। যা আমি বলবো। তারপর তারা জাতীয় রাজনীতির কথা বলেন। কিন্তু ছাত্র রাজনীতি, ছাত্রদের সমস্যা নিয়ে কিছু বলে না।’
তিনি বলেন, ‘আমি বার বার ছাত্রলীগকে এই কথাগুলো বলেছি। কিন্তু ছাত্রলীগের নেতাদের কান পর্যন্ত কথাগুলো গেলেও চেতনায় যায় না। কেন ডাকসু নির্বাচন বন্ধ? এতো বছরে ৪৮ জন ভিপি-জিএস হতো। ডাকসুসহ সারা বাংলাদেশের ছাত্র সংসদ নির্বাচন হলে এমনটা হতো না। ছাত্র রাজনীতিতে যে অসুস্থ ধারা তা পরিবর্তন হয়ে সুস্থতা ফিরে আসতো। সু-বাতাস বইতো।’
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা এখানে না এলেও পারতেন। প্রত্যেক জিনিসের একটা নিজস্বতা, স্বকীয়তা আছে। ছাত্রলীগ ছাড়াও এখানে নির্দলীয় শিক্ষার্থীরা থাকে। আপনারা ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে এলে নিরপেক্ষতা হারায়।’
বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত নেতাদের বিলবোর্ড প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘অনেক নেতাকে আমরা চিনিও না। অনেক নতুন মুখ আছে। বিলবোর্ড দেখলে মনে হয়, বাংলাদেশ এখন নেতা উৎপাদনের কারখানা। আসলে তারা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসে না। বঙ্গবন্ধু উসিলায় আত্মপ্রচার করে। তোমাদের কর্ম বঙ্গবন্ধুকে বড় করবে না। তোমাদের অপকর্ম বঙ্গবন্ধুকে খাটো করবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি ৪০ বছর পর বঙ্গবন্ধুর ছবি দিয়ে ‘কাঁদো বাঙালি কাঁদো’ ব্যানার দেয়া ঠিক না। কারণ বঙ্গবন্ধু একটি সাহসের নাম। বঙ্গবন্ধু একটি আদর্শের নাম। বঙ্গবন্ধু একটি বিপ্লবের নাম।’
বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাবিনা আখতার শিউলীর সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবা রহমান, উপাধ্যক্ষ বিএম মাকসুদা আখতার, যুবমহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই