ফিরে দেখাঃ ১১ মার্চ ২০১৩ :: দৈনিক সকালের খবর খেকে

ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় ৩ মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার

ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের ঘটনাটি ২০১৩ সালের ৮মার্চ শুক্রবার রাতের। সেদিন রাতে কি হয়েছিল ঝাঁজাডাঙ্গা মদিনাতুল উলুম কওমি মাদ্রাসায়? আওয়ার নিউজ বিডি’র পাঠকদের জন্য ‘ফিরে দেখাঃ অতীতের আলোচিত সংবাদ বিভাগে ঘটনাটি আবার পুনারাবৃত্তি করা হলো :

দামুড়হুদা উপজেলার ঝাঁজাডাঙ্গা মদিনাতুল উলুম কওমি মাদ্রাসার এক ছাত্র বলাত্কারের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ফুঁসে উঠেছে এলাকার সাধারণ মানুষ। পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক ইসরাফিলসহ তিন শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত অন্য দুই শিক্ষক হলেন-আবদুর রউফ ও মাদ্রাসার মুহতামিম আবদুল মালেক।

পুলিশ ও স্থানীয় গ্রামবাসী জানায়, উপজেলার ঝাঁজাডাঙ্গা মদিনাতুল উলুম কওমি মাদ্রাসার হেফজ নজরখানার এক ছাত্রকে (১৩) গত শুক্রবার রাত ১২টায় মাদ্রাসা শিক্ষক ইসরাফিল ভয়ভীতি দেখিয়ে বলাত্কার করে।

বিষয়টি পরদিন ওই ছাত্র মাদ্রাসার অপর শিক্ষক হাফেজ আবদুর রউফকে জানালে তিনি বিষয়টি কাউকে না জানাতে ছাত্রকে শাসিয়ে দেন ও ভয়ভীতি দেখান।

স্থানীয় পারকৃষ্ণ-মদনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম জানান, শনিবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্র ঘটনাটি তার পরিবারকে জানালে মুহূর্তের মধ্যে তা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। সেদিন রাত ৮টার দিকে গ্রামের হাজার হাজার মানুষ অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ওই মাদ্রাসা ঘেরাওয়ের পর বিক্ষোভ করে। অবস্থা বেগতিক দেখে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক ইসরাফিল কৌশলে পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে দামুড়হুদা থানার ওসি (তদন্ত) নাজমুল হক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পরে পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে পালিয়ে যেতে সহযোগিতার অভিযোগে একই মাদ্রাসার শিক্ষক আবদুর রউফ ও মাদ্রাসার মুহতামিম আবদুল মালেককে গ্রেফতার করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

দামুড়হুদা থানার ওসি নাজমুল হক জানান, রাতেই গ্রেফতারকৃত দুই শিক্ষকের স্বীকারোক্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক ইসরাফিলকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত শিক্ষক ইসরাফিল খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের রুস্তমপুর গ্রামের আ. কাদেরের ছেলে।



মন্তব্য চালু নেই